shono
Advertisement

Breaking News

Alipore চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি, অ্যানাকোন্ডার সংসারে ৯ নবজাতক

এই মুহূর্তে আলিপুর চিড়িয়াখানায় অ্যানাকোন্ডার সংখ্যা ২০।
Posted: 05:15 PM Jul 17, 2021Updated: 06:15 PM Jul 17, 2021

নিরুফা খাতুন: করোনা আবহে (Corona virus) কঠোর বিধিনিষেধ। ফলে দর্শকদের ‘নো এন্ট্রি’। আর এই শুনশান পরিবেশেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় এল নতুন একদল অতিথি। ৯ শাবকের জন্ম দিয়েছে অ্যানাকোন্ডা (Anaconda) যুগল। তাদের বয়স এখন মাত্র সাতদিন। শনিবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নতুন অতিথিদের প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। ঘন কালোর উপর হলদে ছোপ দাগের মসৃণ কুণ্ডলী পাকানো দেহগুলি দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত সকলে।

Advertisement

২০১৯ সালে চেন্নাই (Chennai) ক্রোকোডাইল ব্যাংক থেকে চারটি হলুদ অ্যানাকোন্ডা চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে দু’টি পুরুষ এবং দুটি স্ত্রী। তখন তাদের বয়স ছিল পাঁচ বছর। ২০২০ সালে এক জোড়া অ্যানাকোন্ডার ১১টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। সেবারও বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানার (Alipore Zoo) অন্দরে। এদের মধ্যে সাতটি বাচ্চা এই মুহূর্তে বেঁচে রয়েছে। এবার তাদেরই ৯টি বাচ্চা জন্মেছে। সবমিলিয়ে, এখন চিড়িয়াখানায় মোট অ্যানাকোন্ডার সংখ্যা ২০। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, ”অ্যানাকোন্ডার বাচ্চারা আপাতত চিড়িয়াখানায় থাকবে। ভবিষ্যতে তাদের অন্য কোনও চিড়িয়াখানার সঙ্গে কথা বলে আদানপ্রদান করা হবে। এখন নয়া অতিথিদের দেখভালের জন্য চিকিৎসক এবং কিপার মিলিয়ে মোট পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। ২৪ ঘন্টা তাদের দেখাশোনা করা হচ্ছে।”

[আরও পড়ুন: এবার কলার টিউনে ‘বাংলার যুবরাজ অভিষেকে’র জয়জয়কার, নয়া উদ্যোগ TMCP’র]

অ্যানকোন্ডার শাবক জন্মাতে সময় লাগে প্রায় সাতমাস। বয়স চার বছর হলে তারা প্রজননক্ষম হয়। হলুদ অ্যানাকোন্ডার ওজন ১০০ থেকে ১৫০ কেজি, লম্বায় প্রায় ২০ ফুট। আর সদ্যোজাতদের ওজন ১০০ গ্রাম এবং লম্বা প্রায় এক ফুট। জানা গিয়েছে, ১০দিন পর থেকে বাচ্চাদের খাবার দেওয়া হবে। জু কিপার জানান, জন্মানোর ১০ থেকে ১২ দিন পর অ্যানাকোন্ডার বাচ্চাদের খাবার দেওয়া হয়। এখন তাদের সপ্তাহে একদিন শুধু ছোট ইঁদুর খাওয়ানো হবে। বড় হলে সপ্তাহে দু’দিন ইঁদুর দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: Corona Virus: করোনা কালে মনিবের আয় বন্ধ, কার্যত অনাহারে কলকাতায় মৃত্যু ৫ ঘোড়ার]

নতুন ৯ অ্যানাকোন্ডাকে কবে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হবে, তা নিয়ে চিড়িয়াখানার অধিকর্তা কিছু জানাননি। যদিও ২০২০ সালে জন্মানো অ্যানাকোন্ডাদের এখন‌ও চোখে দেখেননি দর্শকরা। এদিকে, শীতের আগে চিড়িয়াখানায় সবুজ অ্যানাকোন্ডা নিয়ে আসা হচ্ছে। হলুদ অ্যানাকোন্ডার থেকে এদের দৈর্ঘ্য এবং ওজন প্রায় দ্বিগুণ। অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানান, চেন্নাই ক্রোকোডাইল ব্যাংকে সবুজ অ্যানাকোন্ডা রয়েছে। এছাড়া আর কোথায় এই অ্যানাকোন্ডা রয়েছে, তার খোঁজ চলছে। শীতের আগে চিড়িয়াখানায় নতুন সদস্য নিয়ে আসা হতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement