অর্ণব আইচ: দুবাইয়ে রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমানের দু'টি সম্পত্তির হদিশ। এবার তদন্তের খাতিরে দুবাই সরকারের সাহায্য নিয়ে ওই দেশের কয়েকজন বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি বাকিবুরের দুবাই যাওয়ার আবেদনে আপত্তি জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
রেশন বন্টন দুর্নীতির মামলায় জামিনপ্রাপ্ত অভিযুক্ত মিল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য আগেই ব্যাঙ্কশালে ইডির বিশেষ আদালতে আবেদন জানান। এতে ইডি আপত্তি জানায়। শুক্রবার তার শুনানি হয়। বিচারক জানান, জামিন দেওয়ার শর্ত ছিল বিদেশে যাওয়া যাবে না। কেওয়াইসি আপডেট করতে যাবেন বলে জানানো হয়েছে। বাকিবুর রহমানের আইনজীবী জানান, দুবাইয়ে ভিসা আপডেট করানোর প্রয়োজন আছে। দুবাইয়ে বাকিবুর রহমানের দু’টি সম্পত্তি রয়েছে। ওই দেশে বাকিবুরের একটি ভিলা ও তাঁর মায়ের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে। আয়কর রিটার্নে তা উল্লেখ করা আছে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, দুবাইয়ের সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য নামে সরানো হতে পারে। ইডি দুবাই সরকারের সাহায্য নিয়ে তদন্তের খাতিরে ওই দেশের বাসিন্দা তথা সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। এই পরিস্থিতিতে বাকিবুর বিদেশে গেলে তদন্তে বাধা পড়তে পারে। বাকিবুরের রাজনৈতিক যোগ রয়েছে। তিনি প্রভাবশালী। রেশন বন্টন দুর্নীতির টাকা হাওলার মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে। তাঁকে দুবাই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে ওই দেশের সম্পত্তি তিনি বিক্রিও করে দিতে পারেন বলে আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।
বিচারক এর উত্তরে বলেন, "আপনারা সবটাই আশঙ্কা করছেন। রেকর্ডে কিছু আছে কি? এই মুহূর্তে আদালত মনে করছে না যে ওই ব্যক্তির ফ্লাইট রিস্ক রয়েছে। আপনাদের যে বিষয়ে চিন্তা, সেই বিষয়ে নথি কিছু নেই। বাকিবুরের বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়া আর অন্য কোনও অপরাধের মামলা নেই।" ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, রেশন বন্টন দুর্নীতির মামলায় বাকিবুর রহমান মাস্টারমাইন্ড। বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেত দুর্নীতির টাকা। এখনও টাকা পাচার হতে পারে। একবার বিদেশে গেলে সেখান থেকে তাঁর পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে ইডি।
এদিন রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জামিনের শুনানি ছিল। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, গত ১৩ মাস ধরে প্রাক্তন মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। হাই কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, শারীরিক অবস্থা বুঝে কারা কর্তৃপক্ষ ওই অভিযুক্তকে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে পারে। এই ব্যাপারে ২৬ নভেম্বর শুনানির নির্দেশ দেন বিচারক।