স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এবার সব বিএড ডিগ্রিধারীরাই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মান নির্ণায়ক ‘টেট’ (TET) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। সম্প্রতি এ নিয়ে দায়ের হওয়া এক মামলায় বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এনসিটিই নির্দেশ দিয়েছিল, বিএড উত্তীর্ণদের ৫০ শতাংশ নম্বর থাকলে, তবেই তাঁরা টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কিন্তু এদিন আদালত জানায়, বিএড উত্তীর্ণ হলেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন প্রার্থীরা। দিতে পারবেন ইন্টারভিউও। তবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাঁরা চাকরি পাবেন কি না, তা ঠিক হবে মামলার ভবিষ্যতের ওপর।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলার প্রাপ্তি, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্র]
এর আগে ডিএলএড উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রশ্ন তুলেছিল, কেন বিএড পাস করলে প্রাথমিকের নিয়োগে সুযোগ দেওয়া হবে? অন্য একটি মামলায় বিএড উত্তীর্ণদের প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে সম্মতি দিয়েছে রাজস্থান হাই কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টেও এরকম একটি মামলা বিচারাধীন। এবার তিনজনের করা মামলায় বিচারপতি এই নির্দেশ দিলেন। বিচারপতি পর্ষদকে বলেন, ‘‘পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগটা দাও।’’ এর ফলে টেট পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও বাড়ল।
অন্যদিকে, এ দিন পর্ষদের তালিকায় যে নাম বিভ্রাট হয়েছিল, তারও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয় পর্ষদের তরফে। টেট প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banejee), সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মতো বেশ কিছু নাম, যার সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নামের মিল রয়েছে। এদিন পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতিকে জানান ইতিমধ্যেই পর্ষদের তরফে ওই সব প্রার্থীদের ফোন নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি উল্লেখ করেন, পর্ষদ ও এসএসসি এখন ভাল কাজ করছে।