স্টাফ রিপোর্টার: যুগের পর যুগ ধরে হাসপাতালে রোগী চিকিৎসায় আউটডোর চলছে। কিন্তু ঘটনা হল ক্রমশ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে আউটডোরে ভিড়ও। এই সমস্যা এড়াতে পুজোর পর মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) চালু হবে ‘স্পেশ্যালিস্ট ওপিডি’। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই ব্যবস্থা রোগী পরিষেবাকে আরও নিবিড় করবে বলে স্বাস্থ্যভবনের অভিমত।
বাড়ির কাছে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে লগইন করে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোগী-চিকিৎসক কথা হবে। চিকিৎসক সমস্যা শুনে প্রেসক্রিপশন ই—মেল করবেন। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে থাকা সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী বা নার্স প্রেসক্রিপশনের হার্ড কপি দেবেন। সঙ্গে ওষুধ। বস্তুত এভাবেই রোগীর ভিড় সামাল দেওয়া হবে। যুক্ত হবে মহানগরের মেডিক্যাল কলেজগুলি।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2021: পুজোর সময় বাড়তি পরিষেবা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও, প্রকাশিত নতুন সময়সূচি]
করোনা আবহে টানা সংক্রমণ শঙ্কায় আউটডোর অনেক হাসপাতালে বন্ধ ছিল। টানা লকডাউনের জন্য রোগীরাও হাসপাতালে আসতে পারেননি। সেই সময় চালু হয় টেলি মেডিসিন। বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকা কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবন থেকে। সেই কর্মসূচি এখনও চলছে। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই নয়া ব্যবস্থা চালু হবে।
গত তিন মাস ধরে হাওড়া, হুগলি—সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায় তৈরি হয়েছে কমিউনিটি হেলথ সেন্টার। নয় নয় করে সংখ্যাটা প্রায় ২,৪০০। অন্তত চার হাজার কমিউনিটি হেলথ অফিসার বা নার্সকে যুক্ত করা হয়েছে। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে রোগী এলে সেখান থেকেই চিকিৎসকের সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোগীর সঙ্গে উপসর্গ নিয়ে কথা বলে প্রেসক্রিপশন করে দেন সেই চিকিৎসক। স্বাস্থ্যভবনের তথ্য বলছে, অন্তত ১০ হাজার রোগীকে এইভাবে চিকিৎসা করা হয়েছে। কমিউনিটি হেলথ সেন্টার থেকে ওষুধের ব্যবস্থাও করা হয়। স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের বক্তব্য, এবার এই ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজা হবে। কলকাতা—সহ সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে যুক্ত করা হবে। এর জন্য পৃথক সফটওয়্যার তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। পুজোর পরে আরও নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীকে এই কাজে যুক্ত করা হবে।