শুভঙ্কর বসু: কলকাতা হাই কোর্টে আইনি লড়াই জারি থাকলেও কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার নির্বাচনী প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার তারা একটি সর্বদল বৈঠক ডেকেছে। সেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিকেল ৪টের সময় কমিশনের (State Election Commission) দপ্তরে ওই বৈঠক হওয়ার কথা। গঙ্গার দু’পাড়ের দুই পুরসভার নির্বাচন সংক্রান্ত বিধিব্যবস্থা চূড়ান্ত করতেই এই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পুর নির্বাচন নিয়ে রাজ্য বিজেপির দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যেই কমিশন হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জানিয়েছে, মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন তারা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করবে না। আগামী ২৪ নভেম্বর ওই মামলার শুনানি রয়েছে। ওইদিনই মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে মনে করছেন কমিশন কর্তারা। সেইমতো সমস্ত প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে রাখতে চাইছেন তাঁরা। কমিশনের এক কর্তার কথায়, কমিশন যে কোনও সময় নির্বাচন করাতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই পুরসভাগুলির সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ হয়ে গিয়েছে। সবরকম প্রস্তুতিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আপাতত মামলার গতিপ্রকৃতি কী হয় সেদিকেই নজর রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ফের বিয়ে করছেন আমির! ‘লাল সিং চাড্ডা’র মুক্তির পরই দিন ঘোষণা করবেন অভিনেতা]
এছাড়াও দুই পুরসভার খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই তা চূড়ান্ত করা হবে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী কলকাতা ও হাওড়ার ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই তালিকা অনুযায়ী কলকাতা পুরসভার (KMC Election) মোট ভোটার সংখ্যা ৪০ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩৫২। হাওড়ার মোট ভোটার রয়েছেন ৯ লক্ষ্য ৩৮ হাজার ৮৭৭। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটারের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে বলে খবর। পাশাপাশি কোভিডবিধি (CVID Protocols) মেনে ভোট গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ভোট কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতায় মোট ৪৭৪২ টি বুথ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এছড়াও ৩৮৫ টি অতিরিক্ত বুথ রাখা হচ্ছে। হাওড়ায় থাকবে ১০২৬ টি বুথ। পাশাপাশি রাখা হচ্ছে ১৪১ টি অতিরিক্ত বুথ। এছাড়াও জানা গিয়েছে কমিশনের কাছে থাকা এম-টু টাইপ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমেই ভোট হবে। দুই পুরসভার জন্য প্রায় ১০ হাজার ইভিএম তৈরি রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে কলকাতার জন্য থাকছে ৭৩০০ ইভিএম। এবং হাওড়ার জন্য রাখা থাকছে ২৫০০ ইভিএম। ভোটারের সংখ্যা বাড়লে ইভিএমের সংখ্যাও আনুপাতিক হারে বাড়তে পারে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।