ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: সোমবার থেকে ভোটকর্মীদের টিকাকরন শুরু হল। আগামী দশদিনের মধ্যে রাজ্যের প্রায় ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ভোটকর্মীর টিকাকরন সম্পূর্ণ করবে স্বাস্থ্য দপ্তর। এমন সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের। এখনও পর্যন্ত যেসব স্বাস্থ্যকর্মী করোনার প্রথম ডোজ নেননি তাঁদের আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা নিতেই হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। অন্যথায় তাঁদের কবে টিকা হবে তা স্পষ্ট নয়।
রাজে্যর টিকাকরণের নোডাল অফিসার ডা অসীম দাস মালাকার জানিয়েছেন,“ভোটের কাজে যাঁরা যুক্ত হবেন তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্য, পুলিশ ও ফ্রন্টলাইন কর্মী রয়েছেন। দেখা যাচ্ছে এঁদের মধ্যে অনেকের আগেই টিকা নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে তাই তাঁদের বাদ দেওয়া হবে। তাই সংখ্যাটা কমবে।” তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথম ডোজ পাওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার। কো—উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করা বন্ধ। কিন্তু অ্যাপে নাম থাকলেও এখনও পর্যন্ত যারা ভ্যাকসিন নেননি, তাঁরা যে কোনও টিকাকেন্দ্র থেকেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে পারবেন। কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু বৃহস্পতিবারের পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন : ‘ভাল আছেন জাকির’, SSKM-এ মন্ত্রীকে দেখতে গিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
যদিও দক্ষিন ২৪ পরগনার ভোট কর্মীদের টিকাকরণ শুরু হবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে। চলবে ৫ মার্চ পর্যন্ত। জেলায় ভোটকর্মী প্রায় ৫৩ হাজার ৮৯০ জন। ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৪টি জায়গা থেকে ভ্যাকসিন কর্মসূচি চলবে। এটা যেমন একটা দিক, তেমনই প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যদি ওই ব্যক্তিকে অ্যান্টি রেবিজ ভ্যাকসিন নিতে হয় তবে তাতে কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছেন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি মৃগী রোগীরাও করোনার টিকা স্বচ্ছন্দে নিতে পারবেন বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। সোমবার রাজ্যের ৮০২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন ৪১,৮০০ জন। এঁদের মধ্যে ১৬ হাজার ১৪২ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটও পেয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১তম দিনে রাজ্যে মোট টিকা প্রাপকের সংখ্যা ৭.৪১ লক্ষ।