সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের একগুঁয়েমিতে বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন দেশে করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউকে ত্বরান্বিত করছে। যার ফলে প্রচুর মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বহু মানুষের প্রাণও গিয়েছে। সেই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি চাইছে না এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। তাই আদালত চাইছে ওমিক্রনের চোখরাঙানির কথা মাথায় রেখে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আদালতের আরজি, অন্তত এক-দুমাস পিছিয়ে দেওয়া হোক দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যের ভোট।
বৃহস্পতিবার এক জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি শেখর যাদব বলেন,”জনসভাগুলি বন্ধ না করলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও বিপজ্জনক হতে পারে পরিস্থিতি। প্রাণ বাঁচলে সব হবে।” এলাহাবাদ হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলি নিয়মিত বড় বড় জনসভা করছে, সেখানে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আদালতের অনুরোধ, সবরকম নির্বাচনী জনসভা বন্ধ করে দেওয়া হোক। এবং উত্তরপ্রদেশের ভোট অন্তত ২-১ মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক। যেভাবে ওমিক্রন (Omicron) বাড়ছে, তাতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া না হলে তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের আরজি খারিজ, মেঘালয়ে বিরোধী দলের মর্যাদা পেল তৃণমূল]
এ প্রসঙ্গে বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের প্রসঙ্গ তুলে আনে এলাহাবাদ হাই কোর্ট। বিচারপতি যাদব বলেন,”বাংলার ভোট এবং বিভিন্ন রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলে বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, বহু মানুষের মৃত্যুও হয়েছে।” ওমিক্রনের প্রভাবে কীভাবে বিভিন্ন দেশে বিপদ নেমে আসছে, নতুন করে লকডাউন করতে হচ্ছে, সবই এদিন তুলে ধরেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: অস্তিত্বরক্ষায় হাতে অস্ত্র তুলে নিক হিন্দুরা, হরিদ্বারে ‘ধর্ম সংসদে’ গণহত্যার উসকানি!]
ঘটনাচক্রে ঠিক যে সময় উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন (UP Elections) হওয়ার কথা সেই ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেই দেশে ওমিক্রনের প্রকোপ চরমে উঠতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ওই সময়ই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন দেখার আদালতের অনুরোধে কমিশন (Election Commission) ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবে কিনা। বস্তুত, ভোটের সূচি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি কোনও নির্দেশ আদালত দিতে পারে না। কোন রাজ্যে কবে ভোট হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকে শুধু নির্বাচন কমিশনের। বাংলার ভোটের সময় রাজ্যের শাসকদল একাধিকবার কমিশনকে অনুরোধ করেছিল, ভোটের দফা কমিয়ে দিতে। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি কমিশন।