অর্ণব আইচ: ফের সোনাগাছিতে অনলাইনে তোলাবাজি। এবার প্রতারণার শিকার হলেন অসমের তিন যুবক। অনলাইন ও নগদে তাঁদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই যৌনকর্মী। এর আগেও কয়েকবার এই পদ্ধতিতে সোনাগাছিতে তোলাবাজি হয়েছে। তাই এই অভিযোগটিকে পুলিশ গুরুত্ব দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই মহিলার নাম রূপা দাস ও সোমা দাস। গত শনিবার রাতে সোনাগাছির ইমাম বক্স লেনে যান তিন বন্ধু। কয়েকজন মহিলা তাঁদের টোপ দিয়ে নিয়ে যান সেখানকার একটি ঘরে। এরপর তাঁদের আটকে রেখে তোলাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের বাড়িতে খবর দেওয়া হবে, এই হুমকি দিয়ে টাকা চাওয়া শুরু হয়। তাঁদের কাছ থেকে নগদে ২৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ওই মহিলারা। যুবকরা জানান, তাঁদের কাছে নগদ টাকা নেই। তখন অনলাইনে টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। অভিযোগকারীর দাবি, মোবাইলে একটি ই ওয়ালেটে অনলাইনে তাঁদের মধ্যে একজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় ৪২ হাজার টাকা।
[আরও পড়ুন: ৫ বছরের লড়াইয়ে জয়, হাসিনকে মোটা অঙ্কের খোরপোশ দিতে হবে, শামিকে নির্দেশ আদালতের]
অভিযোগ, এরপর হুমকি দিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁরা সম্মানের ভয়ে তখন টাকা দিলেও রবিবার বড়তলা থানায় গিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগ জানান। সেই সূত্র ধরেই দুই মহিলাকে ধরা হয়। পুলিশের দাবি, এই চক্রের পিছনে আরও দুই যৌনকর্মী রয়েছে। সোমবার দুই মহিলাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী। দু’জনকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।