শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর উজ্জ্বলা গ্যাস (Ujjwala Gas) যোজনা পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক বিজেপি (BJP) কর্মী। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধৃত দীপঙ্কর দাস বিজেপির আইটি সেলের সদস্য। তিনি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বেলাকোবার বাসিন্দা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। দীপঙ্করের দাবি, তাঁকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হয়েছে৷
রাজগঞ্জ থানা সুত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি বেলাকোবারই বাসিন্দা প্রকাশ দাস সম্প্রতি উজ্জ্বলা গ্যাসের সংযোগ পেতে আবেদন করেন। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিজেপির আইটি সেলের কর্মী দীপঙ্কর দাস প্রকাশকে জানান, তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়েছে, গ্যাস চলে এসেছে। গ্যাসটি তাঁকে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়। সেই মতো প্রকাশ গ্যাস আনতে যান দীপঙ্করের দোকানে। দীপঙ্কর গ্যাস দিতে ১২০০ টাকা চায় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রকাশ জানতেন না এই সংযোগ বিনামূল্যে মেলে। দীপঙ্করকে ১০০০ টাকা দেবার পরেই প্রকাশকে উজ্জ্বলা গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন বিদ্যুৎহীন উত্তরবঙ্গের গ্রাম, সমস্যা মেটাতে ফোন ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ, ২৪ ঘণ্টায় মিলল সমাধান]
এদিকে বিনামুল্যের পরিষেবা জানার পরেই দীপঙ্করের দোকানে গিয়ে প্রতিবাদ জানায় প্রকাশ। ব্যাপক বচসা হয় দু’জনের মধ্যে। এরপর প্রকাশ লুকিয়ে উজ্জ্বলা গ্যাসের ওই দোকানের ভিডিও করে। তাতেও দেখা গিয়েছে, দীপঙ্করের দোকানে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রয়েছে। দীপঙ্করের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানার অন্তর্গত বেলাকোবা পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রকাশ।
এরপরেই রাজগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত দীপঙ্কর দাসকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তোলা হলে পুলিশ ধৃতের ১৪ দিনের হেফাজত চায়, যদিও আদলত ৫ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে। এদিকে ধৃত দীপঙ্কর দাস জানিয়েছেন, তাঁকে রাজনৈতিক চক্রান্তে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন।
[আরও পড়ুন: পাখির চোখ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, উত্তরবঙ্গে প্রচারে দ্রৌপদী মুর্মু]
অন্যদিকে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দীপঙ্কর দাস বিজেপির আইটি সেলের কর্মী। এই গ্যাস কাণ্ডে বিজেপির আরও বড় মাথারাও জড়িত থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা তাঁর। এদিকে বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর দাবি, অভিযুক্ত দীপঙ্কর বিজেপির কেউ নয়। পুলিশ আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেবে।