সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার চার দোষীর ফাঁসির আর মাত্র তিন দিন বাকি। তার আগে নিষ্কৃতি মৃত্যু বা স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলেন চার দোষীর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের কথায়, “ওই চারজনকে ক্ষমা না করা হলে, আমাদেরও স্বেচ্ছামৃত্যু দেওয়া হোক।” এই আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে একটি চিঠিও লিখেছেন তাঁরা। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, চার অপরাধীর ফাঁসি বাতিল করতে নতুন কৌশল নিলেন আইনজীবী এ পি সিং। তাঁরই পরামর্শে এই চিঠি লেখা হয়েছে।
২০ মার্চ ভোর সাড়ে পাঁচটায় নির্ভয়ার চার ধর্ষক ও খুনির ফাঁসি হওয়ার কথা। কিন্তু তাতেও বেশকিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট নতুন ফাঁসি পরোয়ানা জারি করার পর ‘আইনি লড়াই এখনও শেষ হয়নি’ বলে জানিয়েছিলেন চার দোষীর আইনজীবী এ পি সিং। এরপরই রবিবার নিষ্কৃতি মৃত্যু চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন চার অপরাধীর পরিবারের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন : পিছিয়ে গেল আস্থা ভোট, ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা]
হিন্দিতে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “বাঁচতে চাই না। ক্ষমা যখন মিলবেই না, তখন আমাদেরও বেঁচে থেকে কী লাভ! নিষ্কৃতি মৃত্যুর আবেদন গ্রাহ্য করা হোক।” সূত্রের খবর, চিঠিতে চার আসামির মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই ও পরিবারের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের স্বাক্ষর রয়েছে। চিঠির লেখা হয়েছে, “রাষ্ট্রপতির কাছে একান্ত আবেদন আমাদের নিষ্কৃতি মৃত্যুর দাবি মেনে নেওয়া হোক। নির্ভয়া ঘটনার মতো এমন অপরাধ যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে এবং আদালতকে একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসিতে ঝোলাতে না হয়, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” একইসঙ্গে চার অপরাধীর পরিবার দাবি করেছে, এমন কোনও অপরাধ নেই যা ক্ষমা করা যায় না। আমাদের দেশে মহাপাপীদেরও ক্ষমা করা হচ্ছে। প্রতিশোধ নেওয়া শক্তি ও ন্যায়ের পরিচয় নয়। আসল শক্তি হল ক্ষমা।” প্রসঙ্গত, চতুর্থবারে জন্য মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। চার অপরাধীর আইনি বিকল্প পাওয়ার পথ কার্যত বন্ধ। ফলে ফাঁসিও প্রায় নিশ্চিত। তাই এবার আইনজীবী চার অপরাধীর পরিবারের আবেগকে হাতিয়ার করতে চাইছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে তাতে তিনি কতটা সফল হন, তা সময়ই বলবে।
[আরও পড়ুন : পিছিয়ে গেল আস্থা ভোট, ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা]
The post ‘ওদের ফাঁসি হলে আমাদেরও নিষ্কৃতি মৃত্যু দিন’, রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ নির্ভয়ার ধর্ষকদের পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.