সুব্রত বিশ্বাস: এক বছরের শিশুর দেহ প্ল্যাটফর্মের বাইরে ফেলে রেখে চলে গেল অ্যাম্বুল্যান্স। শ্রমিক ট্রেনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এক বছরের মেয়েকে নিয়ে জব্বলপুরে নেমে গিয়েছিলেন বাবা-মা। রেলের অ্যাম্বুল্যান্সেই তাকে সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর অ্যাম্বুল্যান্সের চালক শিশুটির মৃতদেহ প্লাটফর্মের বাইরে ফেলে পালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা জানাজানি হাতেই চাঞ্চল্য ছাড়িয়ে পড়ে।
মুম্বইয়ে কাজের সুবাদে স্ত্রী ও এক বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানে থাকতেন গোরক্ষপুর দেবলিয়ার বাসিন্দা সুরেশ ভগত। লকডাউন কাজ হারানোয় দেশে ফিরছিলেন সপরিবারে। ট্রেনের মধ্যেই এক বছরের আকৃতির শরীর খারাপ হয়। তখনই জব্বলপুরে নেমে যান তাঁরা। স্টেশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় রেলের অ্যাম্বুল্যান্স তাঁদের সিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পথেই মারা যায় আকৃতি। হাসপাতাল তা জানানোয় মৃত শিশুর পরিবার অন্য হাসপাতালে যাওয়ার অনুরোধ করেন। চালক তা উপেক্ষা করে দেহটি এক নম্বর প্লাটফর্মের বাইরে ফেলে চলে যায়।
[ আরও পড়ুন: ‘মোদি ক্ষমতায় থাকাকালীন আর শহরে আসব না’, রাহুলকে বলেছিলেন শ্রমিকরা ]
ঘটনায় জব্বলপুরের ডিআরএম সঞ্জয় বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তাঁর অজানা, তবে খাতিয়ে দেখবেন। রেল হাসপাতালের সিএমএস আর এন মিশ্র বলেন, ডিআরএমের কাছ থেকে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। যদি এমন ঘটনা ঘটে তবে সেটি দুর্ভাগ্যজনক। খাতিয়ে দেখা হবে। জিআরপি আইসি মঞ্জিত সিং জানিয়েছেন, ১০৮ ফোন করে মিতা শিশু ও মা-বাবাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে COVID-19 পরীক্ষার জন্য। কিন্তু এই ঘটনায় মর্মাহত এলাকার মানুষ। প্রশ্ন উঠছে মানুষ কি সত্যিই এতটা অমানবিক? নাকি করোনা পরিস্থিতির শিকার? সম্প্রতি জব্বলপুরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা এই প্রশ্নই উসকে দিয়েছে।
[ আরও পড়ুন: ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অনেক কিছুই করা যেত’, আক্ষেপ নীতি আয়োগের প্রধানের ]
The post চূড়ান্ত অমানবিক! এক বছরের শিশুর দেহ প্ল্যাটফর্মের বাইরে ফেলে উধাও রেলের অ্যাম্বুল্যান্স appeared first on Sangbad Pratidin.