সংবাগ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের হোটেলে (Pakistan Hotel) গণধর্ষিতা একুশ বছরের মার্কিন যুবতী। ঘটনাটি ঘটেছে লাহোর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডি. জি খান জেলার ফোর্ট মনরো নামের এক পাহাড়ি এলাকায়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেকজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, টুরিস্ট ভিজা নিয়ে পাকিস্তানে এসেছিলেন ওই মার্কিন যুবতী। পেশায় ব্লগার তিনি। টিকটক ভিডিও-ও তৈরি করেন এবং একটি ফেসবুক পেজও রয়েছে। গত সাত মাস ধরে পাকিস্তানে রয়েছেন একুশ বছরের যুবতী। দুই অভিযুক্ত মুজামিল সিপ্রা এবং আজান খোসার আমন্ত্রণে করাচি থেকে ফোর্ট মনরো এলাকায় যান তিনি। এরপরই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: সংকটের শ্রীলঙ্কায় আজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভারতের সাহায্যপ্রার্থী দ্বীপরাষ্ট্রের বিরোধী নেতা]
ডি. জি খান জেলার ডেপুটি আনওয়ার বারিয়ার জানান, গত রবিবার লাহোর থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজনপুর নামের এক এলাকায় যান ওই যুবতী। সেখানে মুজামিল ও আজানের সঙ্গে মিলে একটি ব্লগের শুটিং করেন। এরপর তিনজন একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন। অভিযোগ, সেখানেই মুজামিল ও আজান মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। তারা একটি ভিডিও-ও রেকর্ড করে। হুমকি দেয়, কাউকে কিছু বললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেবে।
কিন্তু অভিযুক্তদের ভয়ে দমে যাননি একুশ বছরের যুবতী। থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যুবতীর অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে পাকিস্তানের বর্ডার মিলিটারি পুলিশ। মুজামিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর সঙ্গী আজানের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে বলেই খবর। ইতিমধ্যেই যুবতীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রী হামজা শেহবাজ নিজে ঘটনার খোঁজ নিয়েছেন। এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের পুলিশি প্রধানকে ব্যক্তিগতভাবে মামলাটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর।