রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha) আগে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বিরাট রদবদল। দলের কোর কমিটি ভেঙে দিয়ে লোকসভার কথা মাথায় রেখে নতুন নির্বাচনী কমিটি গঠন করল গেরুয়া শিবির। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্য বিজেপির শাসক শিবিরের চাপে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া দিলীপ ঘোষ ফের ওই কোর কমিটিতে জায়গা পেলেন। জায়গা পেলেন আরেক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও।
বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বরাবরই শিরোনামে থাকে। বিশেষ করে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত শিবিরের দাপটে। এমনকী মুরলীধর স্ট্রিটের অফিসে যেভাবে দিলীপদের ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেটাও কারও নজর এড়ায়নি। অথচ, লোকসভার আগে দলের ভঙ্গুর সংগঠন সামাল দিতে সেই দিলীপেই ভরসা রাখল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। খোদ অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা এসে তাঁকে রাখলেন দলের ১৫ সদস্যের নির্বাচনী কমিটিতে।
[আরও পড়ুন: পাক নির্বাচনে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ সইদ! মৌলবাদীদের দখলে যাবে ইসলামাবাদ?]
১৫ সদস্যের ওই কমিটিতে রয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অমিতাভ চক্রবর্তী, দলের পাঁচ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্দ, আশা লাকড়া, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য এবং সুনীল বনসল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোর কমিটির সব সদস্যকে দলের নির্বাচনী কমিটিতে রাখা হয়নি। বদলে রাখা হয়েছে পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে। দলের রাজ্য নেতাদের উপর যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশেষ ভরসা নেই, সেটাও স্পষ্ট এই সিদ্ধান্ত থেকেই বোঝা যায়।
[আরও পড়ুন: হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার ৫ পণবন্দির দেহ! প্রকাশ্যে ভয়াবহ ভিডিও]
সূত্রের খবর, এই ১৫ জনের কোর কমিটির উপরই থাকবে দলের কৌশল নির্ধারণ এবং প্রার্থী বাছাইয়ের ভার। এরা প্রত্যেকেই নিজেদের আলাদা আলাদা প্রার্থী তালিকা জমা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। তার পর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রার্থী বাছাই করবে।