সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকদের লাগাতার আন্দোলনের (Farmer’s Protest) চাপে অবশেষে সুর নরম করল কেন্দ্রীয় সরকার। চাষিরা চাইলে ৩ ডিসেম্বরের আগেই বৈঠকে বসতে রাজি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। শনিবার সন্ধেয় জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়েছেন পাঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্যের কৃষকরা। আন্দোলনে নেমেছে একাধিক কৃষক সংগঠন। ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। শনিবার রাত পর্যন্ত দিল্লি সংলগ্ন হাইওয়েতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। এবার তাঁদের উদ্দেশে সুর নরম করল কেন্দ্রীয় সরকার।
[আরও পড়ুন : ‘সংযম’ দেখিয়েছে পুলিশ! কৃষকদের উপর লাঠিচার্জের পরও প্রশংসা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর]
আগেই কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়েছিলেন, ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সরকার। কিন্তু সেই প্রস্তাবে গররাজি ছিল কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, কৃষকরা চাইলে ৩ ডিসেম্বরের আগেই বৈঠকে বসবে সরকার। তবে কিছু শর্ত মানতে হবে সংগঠনগুলিকে।
এদিন কৃষকদের উদ্দেশে অমিত শাহ জানান, সরকার নির্ধারিত স্থানে আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনেক জায়গাতেই এই প্রবল ঠান্ডায় জাতীয় সড়কের উপর ট্রাক্টর এবং ট্রলিতে রাত কটাচ্ছেন কৃষকরা। আমি তাঁদের আবেদন করছি, দিল্লি পুলিশ আপনাদের বড় ময়দানে সরিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। দয়া করে সেখানে যান। সেখানে আপনাদের আন্দোলন করার জন্য অনুমতি দেবে পুলিশ।” দিল্লির বুরারির শান্ত নিরাঙ্কারি ময়দানে তাঁদের আন্দোলন সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অমিত শাহ। সেখানে পানীয় জল ও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা সরকার করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এনিয়ে কৃষক সংগঠনগুলির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
[আরও পড়ুন : কৃষকদের লাঠিপেটা করার প্রতিশোধ নয়, অতিথি আপ্যায়ণে পুলিশকর্মীদের খাওয়াল গুরুদ্বার]
উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনে তিনটি কৃষি বিল (Farm Bill, 2020) পাশ করেছে মোদি সরকার। তা আইনেও পরিণত হয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, ওই আইন চাষিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করেছে। বদলে শিল্পপতিদের হাত মজবুত করেছে। সেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।