সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বভারতীতে শাহী সফর ঘিরে তুঙ্গে উঠেছিল বিতর্ক। অভিযোগ করা হয়েছিল, তিনি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ারে বসেছিলেন। ক্ষুণ্ণ করেছিলেন কবিগুরুর গৌরব। এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছে তৃণমূলও। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। লোকসভায় দাঁড়িয়ে যাবতীয় বিতর্কে জল ঢেলে দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, “আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ারে বসিনি। কারওর আবেগকে কখনওই আঘাত করতে চাইনি।” এ বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি পুরনো কিছু ছবিও লোকসভায় দেখান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর চিঠিও দেখান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেথানে উপাচার্য লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন, “অমিত শাহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আসনে বসেননি। কবিগুরুর অবমাননা করেননি তিনি।”
[আরও পড়ুন : বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে ধর্মঘট, মার্চে টানা ৪ দিন বন্ধ ব্যাংক]
সে্ামবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি অভিযোগ করেন, বিশ্বভারতী সফরে অমিত শাহ রবি ঠাকুরকে অপমান করেছেন। এর জবাবে এদিন পালটা কংগ্রেস নেতাকে আক্রমণ করেন শাহ। বলেন, “উনি প্রকৃত তথ্য জানেন না। তাই বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন। আমি এখানে আসল সত্য প্রকাশ করছি।” এর পরই বেশকিছু ছবি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেখানে দেখা যায় ওই নির্দিষ্ট আসনটিতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বসেছিলেন।
অমিত শাহ আরও বলেন, “জওহরলাল নেহরু তো ওই আসনে বসে চা-ও পান করেছিলেন। ওই আসনটা আসলে একটা জানলার কোণার অংশ। যেখানে বেশকিছু বালিশ রাখা রয়েছে।” একই কথা জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। বিতর্কের শুরুতেই বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “ওই জায়গায় ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, প্রণববাবু, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বসেছেন। আর অমিত শাহ এখানে কোনও দলের প্রতিনিধি হয়ে নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। তাই তাঁকে অ্যাপায়ণ করা হয়েছে।”