সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই পুরোপুরি শান্ত হবে কাশ্মীর (Kashmir)। উপদ্রুত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে দরকার পড়বে না আধাসেনার। সিআরপিএফের বার্ষিক অনুষ্ঠানে রীতিমতো চমকপ্রদ দাবি করে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সম্ভবত এই প্রথম সরকারের শীর্ষস্থানীয় কোনও মন্ত্রী কাশ্মীর থেকে আধাসেনা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করলেন।
এই প্রথমবার সিআরপিএফের (CRPF) বার্ষিক অনুষ্ঠান দিল্লির সদর দপ্তরের বাইরে অনুষ্ঠিত হল। শ্রীনগরে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ দাবি করলেন,”সিআরপিএফ যে দৃঢ়তার সঙ্গে কাশ্মীরে, নকশাল অধ্যুষিত এলাকায় এবং উত্তরপূর্ব ভারতে কাজ করছে তাতে আগামী কয়েক বছর পর হয়তো এই এলাকাগুলিতে শান্তি বজায় রাখার জন্য সিআরপিএফের আর প্রয়োজন পড়বে না। আমি এ বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। আর এটা যদি হয়ে থাকে, তাহলে তার সব কৃতিত্ব সিআরপিএফের।”
[আরও পড়ুন: যত সমস্যা রাহুলকে নিয়ে! সভাপতির বদলে সোনিয়া-তনয়কে অন্য পদ দিতে চান কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা]
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দাবি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বস্তুত, এই মুহূর্তে কাশ্মীরে প্রায় ৬৫ হাজার আধাসেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন। যা সিআরপিএফের মোট শক্তির এক চতুর্থাংশ। সেই সঙ্গে রয়েছে সেনা, কাশ্মীর পুলিশ, বিএসএফ (BSF), এসএসবি (SSB), আইটিবিপির (ITBP) বহু ট্রুপ। আসলে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই কাশ্মীরের পরিস্থিতির অবনতি হয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল সেনা এবং আধাসেনা নিয়োগ করতে হয় কেন্দ্রকে। তারপর থেকেই এই বিপুল পরিমাণ বাহিনী উপত্যকায় মজুত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা বয়কটকারীদের আর সুযোগ নয়, হিজাব বিতর্কে মুসলিম পড়ুয়াদের হুঁশিয়ারি কর্ণাটকের]
যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দাবি ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারেরই সুফল এখন পাচ্ছে কাশ্মীর। তিনি বলছেন,”৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সবচেয়ে বড় সুফল হল সিআরপিএফ (CRPF) গোটা কাশ্মীরের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পুরোপুরি নিজেদের হাতে পেয়ে গিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে যা বিরাট বড় পদক্ষেপ।” পরোক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝিয়ে দিতে চাইলেন ৩৭০ ধারা বাতিল এবং সিআরপিএফের সক্রিয়তার জেরে কাশ্মীরে দ্রুত শান্তি ফিরতে চলেছে।