নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে চৈত্র সংক্রান্তিতে তপ্ত বাংলায় অমিত শাহ। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না তিনি। পরিবর্তে অনুব্রতগড়ে দাঁড়িয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে উৎখাত করার ডাক দিলেন।
একাধিকবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের গলায় শোনা গিয়েছে অভিযোগের সুর। শুক্রবার অনুব্রতগড়ে দাঁড়িয়ে সেই অভিযোগ কার্যত নস্যাৎ করলেন অমিত শাহ। পরিবর্তে বাংলার উন্নতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অবদানের খতিয়ান তুলে ধরেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ‘হিটলার’ বলে কটাক্ষ করেন। বাংলার সরকারকে উৎখাতের ডাক দেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, “বাংলার উন্নয়ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য নয়। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করতে চান তিনি।” তবে সাধারণ মানুষ ভোটবাক্সে তাঁকে ‘যোগ্য’ জবাব দেবেন বলেই আশাবাদী শাহ। আবারও নরেন্দ্র মোদিই প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেই আত্মবিশ্বাসী তিনি।
[আরও পড়ুন: বৈদ্যুতিন নাগরদোলায় জড়াল খোলা চুল, মাথা থেকে আলাদা হল খুলি, মর্মান্তিক মৃত্যু তরুণীর]
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর এবং বীরভূমে ফোটেনি পদ্ম। হেরে গিয়েছিল বিজেপি। আবার বিধানসভা নির্বাচনেও বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি পদ্মশিবির। বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে ১১টি আসনের মধ্যে মাত্র ২টি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এবার পরিস্থিতি অনেকটা অন্যরকম। অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি থাকার ফলে জেলার নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে। আর সেই সুযোগেই বীরভূমে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। তবে শেষমেশ কী হয়, সেটাই এখন দেখার।