রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে। এই অভিযোগ তুলে বাংলার বকেয়া অর্থ আদায়ের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছে তৃণমূল। আর তাতেই কার্যত চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যে যাঁরা বঞ্চিত তাদের খুঁজে বের করে কলকাতায় এনে সমাবেশ করার ডাক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। আর ধর্মতলার সেই সভায় এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আসার জন্য অনুরোধ করা হল রাজ্য বিজেপির তরফে।
জানা গিয়েছে, আগামী ২৯ নভেম্বর বিজেপির সভায় অমিত শাহ আসছেন। সেই সম্মতিও মিলেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বাংলার বকেয়া আদায়ে তৃণমূল যেভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে তাতে নাস্তানাবুদ হয়ে পালটা সভা করতে অমিত শাহকে আনতে হচ্ছে। এটা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে অবশ্য ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘একুশ সালের ভোটের আগে ওরা (মোদি-শাহ) অনেকবার যাতায়াত করেছেন। রকবাজদের মতো আচরণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওঁরা এসে লাভ নেই। বাংলার প্রতি বৈষম্য প্রকট হবে আরও।’’
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় দলের প্র্যাকটিসে গেরুয়া জার্সি কেন?’, গৈরিকীকরণ নিয়ে সরব মমতা]
এদিকে, ২৯ নভেম্বর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই আবার সভা করতে অনড় বিজেপি। ২০১৪ সালের নভেম্বরে এই জায়গাতেই সভা করেছিল রাজ্য বিজেপি। তখনও অমিত শাহ উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির এই সভার অনুমতি অবশ্য পুলিশের তরফে এখনও মেলেনি। অনুমতি না মিললে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেটা নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা। আর এবার সেটাকে অনুকরণ করেই অভাব-অভিযোগ জানতে কলসেন্টার খুলছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার জানান, পাঁচটি বড় কলসেন্টার করা হবে। এটা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, মুখ্যমন্ত্রীর কাজের সমালোচনা করবে আবার মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি ও প্রকল্পকেই নকল করবে বিজেপি। সবটাই ওদের (বিজেপি) ধার করে চলা।