সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপ্রত্যাশিত কিছু হচ্ছে না। জল্পনার অবসান ঘটাল কালীঘাট সংঘশ্রী পুজোকমিটি। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার পুজোয় ফিতে কেটে উদ্বোধন করবেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এমনকী পুজোকে রাজনীতিমুক্ত রাখার কথাই জানিয়েছে পুজোকমিটি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পুজোয় বিজেপির কোনও সাহায্য নেওয়া হবে না। গত কয়েকদিন ধরে শহরের পুজোমহলে যে শোরগোল পড়েছিল, তাতে ইতি টানল সংঘশ্রী। পুজোকমিটির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, পুজোয় বিজেপির কোনও সাহায্য নেওয়া বা নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। যার ফলে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুরও আর পুজোকমিটির সভাপতি হওয়া হচ্ছে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
[আরও পড়ুন: পুজোকমিটিকে অন্ধকারে রেখে সায়ন্তনকে সভাপতি ঘোষণা! বৈঠক ডাকল সংঘশ্রী]
গতবছরও কালীঘাট সংঘশ্রী ক্লাবের পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পুজো কমিটির উপদেষ্টাও মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ আচমকা পুজোকমিটির একাংশকে অন্ধকারে রেখে নাকি এবছর সভাপতি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে করার কথা প্রকাশ্যে আসে। এবং এই বিষয়ে রীতিমতো সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয় পুজোকমিটির মধ্যেই। বর্তমানে যিনি ক্লাবের সভাপতি, সেই শিবশংকর চট্টোপাধ্যায় নাকি জানতেনই না যে সায়ন্তন বসুকে পুজোকমিটির সভাপতি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে তিনি কমিটির কাছে জবাবদিহি চাইতে শনিবার সন্ধেয় কমিটির বৈঠকও ডাকেন। সেখানেই নাকি বিষয়টি নিয়ে হেস্তনেস্ত করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায়ও। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকের একটাই সিদ্ধান্ত, বিজেপি আর্থিক সাহায্য করতে চাইলেও তা নেওয়া হবে না।
এপ্রসঙ্গে কার্তিকবাবু জানিয়েছেন, ‘এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ছোট, হয়তো মিনি স্কার্ট পরতেন, তখন থেকে সংঘশ্রীর ঠাকুর দেখতে আসেন। এখানে সব ধর্ম, সব বর্ণের মানুষ আছেন। এখানে আমি বহু দিন আছি। সংঘশ্রী ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। এখানে রাজনীতি ঢোকানো মুশকিল। কিন্তু এই যে বার বার রাজনীতি আনার চেষ্টা হচ্ছে, এটা এলাকার মানুষ মেনে নেবে না।’ পুরনো কমিটিই যে এ বারের পুজো পরিচালনা করছে তা-ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই।
The post ফিতে কাটবেন না অমিত শাহ, পুজো বিতর্কে জল ঢালল সংঘশ্রী appeared first on Sangbad Pratidin.