সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়লা, বুলবুল, ফণী দেখেছে বাংলা। তাতেও কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে আমফানের মতো প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় শেষ কবে বাংলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল, তা ভেবে দেখতে হচ্ছে আমজনতাকে। ১৩৩ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শহর-সহ গোটা রাজ্যের প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে একের পর এক গাছ। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। প্রবল ক্ষয়ক্ষতির জেরেই মেরামতি সামান্য বেশি সময় লাগছে বলেই জানালেন CESC’র ডিস্ট্রিবিউশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ ঘোষ।
আমফানের পর রাজ্যের অধিকাংশ এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে। প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আঘাত হানার সপ্তাহখানেক পরেও বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের জন্য CESC’কে দায়ী করেছেন অনেকেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলেই বারবার জানিয়েছেন CESC’র ডিস্ট্রিবিউশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ ঘোষ। বুধবার তিনি বলেন, “আমফানের গতি এবং স্থায়িত্ব দু’টোই অনেক বেশি ছিল। তাই ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বেশি। সে কারণেই বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে একটু বেশি সময় লেগেছে। আগের ঝড়ের ক্ষেত্রে অনেক আগে আমরা পরিষেবা স্বাভাবিক করেছি। তবে এবার সময় বেশি লেগেছে। দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে আমাদের সুনাম রয়েছে। আমরা চাই সুনাম বজায় রাখতে।”
[আরও পড়ুন: নিজের খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টাইন! কলকাতা বিমানবন্দরে বিক্ষোভ বাংলাদেশ ফেরত যাত্রীদের]
ওই বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার আধিকারিক আরও বলেন, “মঙ্গলবার ৯৭ শতাংশ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। বুধবার ৯৯ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বর্তমানে স্বাভাবিক। ৭ দিনে ৯৯ শতাংশ কাজ করেছি। আমরা বাকি এলাকাতেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেবো।” গ্রাহকদের ধন্যবাদও জানান তিনি। অভিজিৎবাবু বলেন, “দুর্যোগে সকল গ্রাহককে পাশে পেয়েছি। সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। গ্রাহকরা যেভাবে ধৈর্য নিয়ে আমাদের পাশে থেকেছিলেন তাতে তাঁদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।”
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে অমানবিক রাজ্য, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের]
The post ‘আমফানে ক্ষতি বেশি হওয়ায় পরিষেবা স্বাভাবিক করতে সময় লাগছে’, দাবি CESC’র appeared first on Sangbad Pratidin.