সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশেরায় দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে একটা দিন। এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি অমৃতসরের জোড়া ফটক এলাকা। রবিবারও সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। সেখানে রেল লাইন অবরোধ করেন স্থানীয়রা। তাদের হটাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় উত্তেজিত জনতার।
শুক্রবার দশেরা উপলক্ষে জোড়া ফটক এলাকায় রাবনবধ পালা চলছিল। অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিলেন হাজারের বেশি মানুষ। রেললাইনের উপরে দাঁড়িয়েই অন্তত ৭০০ জন রাবণ বধ দেখছিলেন। তখনই দ্রুত গতিতে ছুটে আসে একটি ট্রেন। ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬০ জনের। আহত বহু।
[ যোগীর পথে হিমাচল সরকার, নাম বদলে ‘শিমলা’ হতে পারে ‘শ্যামলা’ ]
এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত জোরা ফটক এলাকা। রবিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। অনুষ্ঠানটি যারা আয়োজন করেছিল, তাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। ঘটনার জন্য সরাসরি রেলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। প্রতিবাদে রবিবার সকালে রেল অবরোধ করেন স্থানীয়রা। অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তখনই অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁটবৃষ্টি করে উত্তেজিত জনতা। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এদিকে দুর্ঘটনার সমস্ত দায় ইতিমধ্যেই ঝেড়ে ফেলেছে রেল। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ট্রেনের গতি সবসময় আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া থাকে। ওই পরিস্থিতিতে যদি এমার্জেন্সি ব্রেক মেরেও গাড়ি থামানো হত, তাতেও গাড়ি মুহূর্তের মধ্যে থামত না। তার জন্য কয়েক সেকেন্ড সময় লাগত। ততক্ষণে দুর্ঘটনা ঘটেই যেত। তাছাড়া জায়গাটি ছিল অন্ধকার। চালক কিছুই দেখতে পাননি। এছাড়া যেই জায়গায় দুর্ঘটনাটি হয়, সেখানে একটি বাঁক রয়েছে। তাই এবিষয়ে কোনও তদন্ত করবে না রেল। তাদের মতে, অনধিকার প্রবেশের ফলেই যত বিপত্তি। রেল এও জানিয়েছে, ড্রাইভার, গার্ড, গেটম্যান বা স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। গোটা ঘটনাটি নিয়ে অজ্ঞাতপরিচয়দের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে রেলপুলিশ।
[ সন্ত্রাস বিধ্বস্ত জম্মুতে গেরুয়া ঝড়, শুভেচ্ছা অমিতের ]