সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ সংঘর্ষে রক্তাক্ত আফগানিস্তানে প্রতিরোধের শেষ গড় পঞ্জশির উপত্যকা (Panjshir Valley)। এবার সেখানে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি দখল করে স্বঘোষিত ‘কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট’ আমরুল্লা সালেহর দাদা রুহুল্লা সালেহকে খুন করেছে তালিবান বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: ৯/১১ বর্ষপূর্তিতেই শপথগ্রহণ তালিবানের মন্ত্রীদের! আমেরিকার অস্বস্তি বাড়াতেই পরিকল্পনা?]
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সালেহ ও তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। তালিবানের দাবি, তারা আমরুল্লা সালেহর গোপন ডেরার লাইব্রেরি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। সেখানেই লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন রুহুল্লা সালেহ। আহমেদ মাসুদের একটি অস্ত্রাগারও দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জেহাদিরা। বলে রাখা ভাল, প্রায় মাসখানেকের লড়াইয়ের পর গত সোমবার বা ৬ সেপ্টেম্বর পঞ্জশির দখল করার কথা ঘোষণা করে তালিবান। শুধু তাই নয়, তালিবানের দাবি, পঞ্জশিরে প্রতিরোধ বাহিনীর অন্যতম নেতা আহমেদ মাসুদের বাড়িরও দখল নিয়েছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও ভাইরাল হয়েছে। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ দাবি করে, “আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ হিসাবে পঞ্জশির এখন আমাদের দখলে। গোটা আফগানিস্তানেরই দখল নিয়েছে তালিবান।”
যদিও এই দাবির পাল্টা নর্দার্ন অ্যালায়েন্স জানিয়েছে, মিথ্যা দাবি করছে তালিবান। ‘ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্স অফ আফগানিস্তান’-এর টুইট, ‘তালিবানের পঞ্জশির দখলের দাবি মিথ্যা। এখনও সেখানে প্রতিরোধ বাহিনী রয়েছে। আমরা লড়াই করছি। আমরা আফগানদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যত দিন না স্বাধীনতা ও নিজেদের অধিকার ফিরে পাব ততদিন লড়াই চলবে।’
এহেন ডামাডোলে খবর পাওয়া যায় যে পাক বিমানবাহিনীর এবং তালিবানের হামলায় পঞ্জশির উপত্যকার জনবসতিগুলি হাতছাড়া হয়েছে আহমেদ মাসুদ ও সালেহর বিদ্রোহী বাহিনীর। তবে তাজিক যোদ্ধারা হিন্দুকুশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন বলে খবর। সেখান থেকে তালিবান বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘকালীন গেরিলা যুদ্ধও চালাতে পারেন তিনি। একই রণকৌশলে আশির দশকে সোভিয়েত সেনার মোকাবিলা করেছিলেন ‘সিনিয়র মাসুদ’।