shono
Advertisement
Tirupati temple

তিরুপতি মন্দিরে ঘি সরবরাহ করত আমূল? বিতর্কের মধ্যে মুখ খুলল সংস্থা

তিরুপতি মন্দিরে ঘি সরবরাহের বরাত দীর্ঘদিন ধরে ছিল কর্নাটকের বিখ্যাত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের সংস্থা নন্দিনী। গত বছর লাড্ডু তৈরিতে বিখ্যাত নন্দিনী ব্র্যান্ডের ঘি ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছিল।
Published By: Subhajit MandalPosted: 10:27 AM Sep 21, 2024Updated: 10:51 AM Sep 21, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু ঘিরে শোরগোল তুঙ্গে। ল্যাব রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাড্ডুতে পাওয়া গিয়েছে গরুর চর্বি, মাছের তেল! যত সমস্যার মূলে নাকি মন্দিরে যে সংস্থা ঘি সরবরাহ করত সেই সংস্থা। কারণ লাড্ডুতে যাবতীয় যা মিশেছিল সবই ঘিয়ের মাধ্যমে। সেই ঘি সরবরাহকারী সংস্থার দিকেই অভিযোগের আঙুল। এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় গুজবও ছড়িয়েছে। শোনা যাচ্ছিল, তিরুমালা ট্রাস্টের সঙ্গে নাকি চুক্তি ছিল আমুলেরও। যদিও আমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করল।

Advertisement

আমুলের তরফে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হল, "আমরা কোনওদিন তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমে ঘি সরবরাহ করিনি। একই সঙ্গে জানিয়ে দিতে চাই, আমুলের ঘি শুধুমাত্র উচ্চমানের দুধের ফ্যাট থেকে তৈরি হয়। আমাদের ডেয়ারিতে যে ঘি তৈরি হয়, সেটা FSSAI-এর মাধ্যমে বহু ধাপে পরীক্ষিত।" আমুলের বক্তব্য, "আমুল ঘি গত ৫০ বছর ধরে ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ঘি। এভাবেই আমরা আমজনতার ভরসা বজায় রাখতে চাই।"

উল্লেখ্য, তিরুপতি মন্দিরে ঘি সরবরাহের বরাত দীর্ঘদিন ধরে ছিল কর্নাটকের বিখ্যাত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের সংস্থা নন্দিনী। গত বছর লাড্ডু তৈরিতে বিখ্যাত নন্দিনী ব্র্যান্ডের ঘি ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছিল। সেই সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল এই সিদ্ধান্ত নিয়ে। গত বছরের আগস্টে জানা যায়, তিরুপতি বালাজি মন্দিরে আর সরবরাহ করা হবে না নন্দিনী ব্র্যান্ডের ঘি। কর্নাটকের মিল্ক ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন, লাড্ডুর জন্য ওই ঘি তাঁদের পক্ষে আর সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

সেই সময়ই টেন্ডার ডাকা হয় ঘি সরবরাহের জন্য। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ৫ লক্ষ কেজি ঘি কেনা হয় মন্দিরের তরফে। প্রতিদিন সাড়ে ৩ লক্ষ লাড্ডু তৈরি হয় মন্দিরে। একেকটির দাম পড়ে যায় ৪০ টাকা। দৈনিক ৪০০-৫০০ কেজি ঘিয়ের পাশাপাশি ৭৫০ কেজি কাজু, ৫০০ কিশমিশ, ২০০ কেজি এলাচ লাগে। প্রতি ৬ মাস অন্তর টেন্ডার ডাকা হলেও নন্দিনী ঘিই লাড্ডু তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছিল ১৫ বছর ধরে। কিন্তু দাম বেড়ে গিয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে তা ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় জগনমোহন রেড্ডির নেতৃত্বীধীন সরকার। তারপর ঘি সরবরাহের বরাত যায় অন্য একাধিক সংস্থার কাছে। সেই সংস্থাগুলির দিকেই এবার অভিযোগের তির। এই আবহেই সোশাল মিডিয়ায় আমুলের নাম ছড়িয়ে পড়ে। তবে আমূল জানিয়ে দিল, তারা কোনওদিন তিরুপতি মন্দিরে লাড্ডু সরবরাহ করেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • শোনা যাচ্ছিল, তিরুমালা ট্রাস্টের সঙ্গে নাকি চুক্তি ছিল আমুলেরও।
  • যদিও আমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করল।
  • আমুলের তরফে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হল, "আমরা কোনওদিন তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমে ঘি সরবরাহ করিনি।"
Advertisement