সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শর্ট স্কার্টের প্রয়োজন পড়ছে না। জিনসেরও দরকার নেই। নাবালিকা? শিশুকন্যা? তাতে কি হয়েছে? শরীর তো! ছিঁড়েকুড়ে খাওয়াই তো রেওয়াজ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে এই ‘মহান’ ভারতবর্ষে। কাঠুয়া থেকে উন্নাও, সুরাট থেকে অসম- কোথাও কারও রেহাই নেই। নৃশংসতার মাত্রা প্রতিটা ক্ষেত্রে বেড়ে গিয়েছে। বর্বরতাও বোধহয় এই ধর্ষণের ‘সভ্যতা’র কাছে লজ্জা পেয়ে যাবে। দেশের এই ‘লজ্জা’ ফুটে উঠেল আমুল-কন্যার মুখেও। যে মুখে সবসময় হাসি লেগে থাকে। সে মুখই আজ লজ্জার ভারে নত। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে নোনা জল। পাশে শুধু একটিই কথা লেখা, ‘জরা আঁখো মে ভরলো পানি’।
[‘বিদেশ থেকে কালি আসছে না বলে ২০০, ৫০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ’]
সামাজিক সমস্যা বরাবর উঠে এসেছে আমুলের বিজ্ঞাপনে। কার্টুনের আকারে আগেও প্রকাশিত হয়েছে প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি। তবে আমুল-কন্যার এই দুঃখিত মুখ যেন কাঠুয়া, উন্নাও কাণ্ডের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তুলে ধরেছে গণতন্ত্রের কঙ্কালসার চেহারা। সেই কথাই ফুটে উঠেছে নেটদুনিয়ার বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়াতেও।
বিচার চলছে। রাজনীতিও সমান তালে প্রতিপালিত হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রতিবাদের ভাষা পরিষ্ফুট হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রয়োজনীয়তার প্রশ্ন উঠতেই পারে। অনেকেই বলতে পারেন, কী লাভ হবে এই প্রতিবাদে। কিন্তু বিন্দু বিন্দুতে সাগর সৃষ্টিতে যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের কাছে এই প্রতিবাদই বা কম কিসে! শুরু হলে শেষ তো একদিন হবেই। সব না হলেও কিছুটা তো দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবে।
[মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ, যুবককে কুপিয়ে খুন করল ছেলে]
The post রেহাই পাচ্ছে না শিশুকন্যাও, দুঃখে চোখে জল আমুল-কন্যার appeared first on Sangbad Pratidin.