সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির প্রতি অসন্তুষ্ট শিণ্ডে শিবির। ক্রমেই নাকি বড় হচ্ছে দুই শিবিরের ফাটল! গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজনৈতিক মহলে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে গুঞ্জন ছড়াল একটি বিজ্ঞাপন ঘিরে। রাজ্যের সংবাদপত্রে প্রকাশিত যে বিজ্ঞাপনের ক্যাচলাইন ‘রাষ্ট্রে মোদি মহারাষ্ট্রে শিণ্ডে’। এর আগে বিজেপির একটি স্লোগান জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই স্লোগানে বলা ছিল, ‘দিল্লিতে নরেন্দ্র আর রাজ্যে দেবেন্দ্র’। এই স্লোগানকে তারই পালটা মনে করা হচ্ছে। যাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি শিণ্ডে শিবিরের শিব সেনা ও গেরুয়া শিবিরের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি একেবারে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে?
কেবল স্লোগান দেওয়াই নয়। ওই বিজ্ঞাপনে এও দাবি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিসের (Devendra Fadnavis) চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের (Eknath Shinde) জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এক বেসরকারি চ্যানেলের সমীক্ষার ভিত্তিতে এই দাবি করা হয়েছে। সেই সমীক্ষা অনুসারে, ২৬.১ শতাংশ রাজ্যবাসী একনাথকেই চান রাজ্যের মসনদে। সেখানে দেবেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান ২৩.২ শতাংশ। যদিও তাতে এও বলা হয়েছে, বিজেপির প্রতি সমর্থন রয়েছে ৩০.২ শতাংশের। সেখানে শিব সেনার পাশে ১৬.২ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে রাজ্যের ৪৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে শিণ্ডে-বিজেপি শিবিরের পাশেই।
[আরও পড়ুন: আধিকারিকদের শৌচালয়ে ঢুকিয়ে ব্যাংক ডাকাতি, সিসিটিভির হার্ডডিস্কও খুলে নিয়ে গেল দু্ষ্কৃতীরা]
বিজ্ঞাপনে বিজেপিকে এগিয়ে দেখালেও শিণ্ডের চেয়ে দেবেন্দ্রকে পিছিয়ে দেখানোয় চটেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা প্রবীণ দারেকারের দাবি, ”মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের প্রশস্তি যেভাবে ওই বিজ্ঞাপনে করা হয়েছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু ফড়নবিসের জনপ্রিয়তাকে কম করে দেখানোটা ঠিক নয়। আমাদের উচিত সম্মিলিত শক্তিকে বিপক্ষের সামনে তুলে ধরা। একে অপরের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনে লাভ নেই। একহাতে তালি বাজে না।”
এমনই মত বহু বিজেপি সমর্থকদের। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিলেন শিণ্ডে ও ফড়নবিস। পরে তাঁদের তরফে বিবৃতিও দেওয়া হয়, বিরোধীরা এই জোটে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে। এই বিবৃতিকে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা বলেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। কিছুদিন আগেই শিব সেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপির প্রতি অসন্তুষ্ট শিণ্ডে শিবিরের ২২ জন বিধায়ক ও ৯ জন শিব সেনা সাংসদ। তাঁরা দল ছাড়তে চাইছেন। সেই গুঞ্জনের রেশ কাটতে না কাটতেই নয়া গুঞ্জনে সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজনৈতির মহল।