অর্ণব আইচ: একাকীত্ব। অবসাদ। আর তার জেরেই বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। শনিবার সকালে ফুলবাগান এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বেলার দিকে তাঁর চশমার বাক্স থেকে দু’টি সুইসাইড নোট (Suicide Note) উদ্ধার হয়েছে।
মৃতার নাম আভা দাস। বয়স ৮৩ বছর। ফুলবাগান (Phoolbagan) থানার সুরেন সরকার লেনের বাসিন্দা। পেশায় শিক্ষিকা। বহুদিন আগেই স্কুল থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। বৃদ্ধার দুই ছেলেমেয়ে। অভিজিৎ এবং অনুশ্রী দাস নামে দুই সন্তান বর্তমানে কর্মসূত্রে বিদেশে বসবাসকারী। আগস্ট মাস থেকে বোন, তাঁর স্বামী এবং ছেলে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে বসবাস করছিলেন। তাঁরাই দেখভাল করছিলেন বৃদ্ধার।
[আরও পড়ুন: টার্গেট বাংলার যুবকরা! রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ‘জঙ্গি’ নিয়োগ করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ISI]
শুক্রবার রাতে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন সকলেই। শনিবার সকালে ঘুম ভেঙে দেখেন মাটিতে পড়ে রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর মুখে এবং হাতে ছিল আঘাতের চিহ্ন। বৃদ্ধার বোনের চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। অচেতন অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার।
ফুলবাগান থানার পুলিশ সুরেন সরকার লেনের ওই বৃদ্ধার বাড়িতে যায়। তাঁর চশমার বাক্স থেকে দু’টি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যেকটি লেখা ছিল বাংলায়। একটিতে লেখা ছিল “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।” অপর সুইসাইড নোটে লেখা ছিল ছেলে, মেয়ে এবং বোনের নাম। তাঁদের মধ্যে সমস্ত সম্পত্তি ভাগ করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন ওই বৃদ্ধা। কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে, তার খতিয়ানও রয়েছে সুইসাইড নোটে। এছাড়াও লেখা, “আমি কারও বোঝা হতে চাইনি।” ইতিমধ্যেই তাঁর ছেলে ও মেয়েকে মায়ের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।