সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে ফের একাকী বৃদ্ধার (Old Woman) রহস্যমৃত্যু। এবার ঘটনাস্থল সিঁথির পেয়ারা বাগান। বন্ধ ঘর থেকে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতার জেরে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে পুলিশ এখনই এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নিহত ওই মহিলা বছর সত্তরের কৃষ্ণা মালিক। তিনি সিঁথির পেয়ারা বাগানের বাসিন্দা। ওই এলাকার বাড়িটিতে একাই থাকতেন বৃদ্ধা। তাঁর পরিজনেরা সকলেই অন্যত্র থাকেন। পরিচারিকা ছাড়া সেভাবে আর কেউই আর তাঁর বাড়িতে কেউ আসতেন না।
[আরও পড়ুন: ভরতির পর রোগ নির্ণয়ে ৫ হাজারের বেশি খরচ নয়, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা]
বৃদ্ধা বেশ মিশুকে ছিলেন। তবে দিনকয়েক ধরে তাঁকে একেবারেই দেখা যাচ্ছিল না। গত কয়েকমাস ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন বৃদ্ধা। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়ি থেকে হয়তো ওই বৃদ্ধা বেরোচ্ছেন না বলেই প্রথমে মনে করেছিলেন সকলে। তবে কেউই তাঁর বাড়িতে খোঁজ নিতে যাননি। এদিকে, গত সোমবার থেকে তাঁর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ভেসে আসতে থাকে। উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয়রা বোঝেন ওই বৃদ্ধার ঘর থেকে গন্ধ বেরোচ্ছে।
প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করতে থাকেন তাঁকে। তবে কোনও সাড়াশব্দ পাননি। বাধ্য হয়ে সিঁথি থানায় যোগাযোগ করেন প্রতিবেশীরা। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রথমে ডাকাডাকি করা হয়। তবে বৃদ্ধার সাড়া পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। বাড়ির ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে যান তাঁরা। দেখেন বাড়ির ভিতরেই পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার নিথর দেহ। পুলিশ বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দেহে কোনও চোটাঘাত নজরে পড়েনি পুলিশের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। সে কারণেই তাঁর প্রাণহানি হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পরই বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।