সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখকে (Anil Deshmukh)। মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে তাঁকে রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা। সিবিআইয়ের (CBI) অভিযোগ, জেল হেফাজত এড়াতে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় তাঁকে। এরপরই পাঠানো হল জেল হেফাজতে।
প্রসঙ্গত, এর আগে দেশমুখের তিন জন ঘনিষ্ঠকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। অনিল দেশমুখের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট কুন্দান শিন্ডে এবং সেক্রেটারি সঞ্জীব পালান্ডের আগাম জামিনের আরজিও খারিজ করে দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে দেশমুখকে নিজেদের হেফাজতে (Custody) চেয়েছিল সিবিআই। সেই আবেদনে সাড়া দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান অনিল দেশমুখ। বম্বে হাইকোর্ট সেই আরজি খারিজ করে দিয়েছিল। বিচারপতি দেরে জানান, মামলাটি অন্য বেঞ্চে স্থানান্তরিত করা হবে।
[আরও পড়ুন: হলদিরামের নতুন চানাচুরের প্যাকেটে উর্দু ভাষায় লেখা কেন? ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক]
গ্রেপ্তারি (Jail Custody) এড়ানোর জন্যই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন দেশমুখ, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। মুম্বইয়ের জেজে সরকারি হাসপাতালের অরথোপেডিক বিভাগে ভরতি হন তিনি। হাসপাতাল থেকে বেরনোর পরদিনই গ্রেপ্তার করা হল তাঁকে। তবে কতদিনের জন্য তাঁকে জেল হেফাজতে রাখা হবে, তা নিয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগেও গ্রেপ্তার হয়েছেন অনিল দেশমুখ। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ইডি তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল অন্য একটি দুর্নীতির মামলায়। তাঁর বাড়িতে তল্লশিও চালিয়েছিল ইডি (ED)। মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিং জানিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন তিনি। বহিষ্কৃত পুলিশ ইন্সপেক্টর শচীন বেজ-সহ বেশ কয়েকজনকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিভিন্ন রেস্তরাঁ এবং পানশালা থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে হবে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ইডি তদন্ত শুরু করে দেশমুখের বিরুদ্ধে।