সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। তাঁর দাবি, হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল ভিজ (Anil Vij) স্রেফ সুনাম অর্জনের জন্য, শিরোনামে আসার জন্য কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। আসলে, করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) তৈরির নামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। সুনাম অর্জনের লড়াই চলছে। এভাবে ভারতবাসীকে গিনিপিগ বানানো বন্ধ হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, অনিল ভিজ হরিয়ানার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এই ভ্যাকসিনের (Covaxin) প্রথম ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পরই করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যেই তাঁর আক্রান্ত হওয়ার খবরে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছিল এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছিল, আদৌ মন্ত্রীমশায় করোনার প্রোটোকল মানছেন কিনা সেটা নিয়েও। পরে টুইটারে নিজেই ভিজ জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে কোনও প্রটোকল তিনি ভঙ্গ করেননি। তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়া মানেই এমন নয়, যে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) কার্যকরী নয়। ভিজের দাবি, “ভারত বায়োটেক আমাকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর নিতে হয়। এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর তৈরি হয় অ্যান্টিবডি। একমাত্র সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করার পরই করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।”
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ২৬ হাজার, অনেকটা কমল মৃত্যুও]
মারণ ভাইরাসের কবলে পড়া সত্ত্বেও ভিজের এই ভ্যাকসিন নেওয়া এবং করোনা আক্রান্ত হওয়াকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh)। তিনি বলছেন, “ইদানিং প্রোটোকলের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। কোন সংস্থার ভ্যাকসিন আগে ব্যবহার করা হবে সেটা নিয়ে বিশ্বনেতাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা চলছে। যা এড়িয়ে চলা উচিত। অনিল ভিজ মহাশয় সুনাম অর্জনের জন্য ভ্যাকসিন নিলেন। তারপর করোনা আক্রান্ত হয়ে গেলেন। এখন কোন ডোজ কখন নিলে কী হয়, সেসব বোঝাচ্ছেন। আমাদের এগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ভারতবর্ষ কোনও গবেষণাগার নয়। ভারতবাসীকে গিনিপিগ বানানো বন্ধ হোক।” দিগ্বিজয়ের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়া একজন অসুস্থ ‘স্বেচ্ছাসেবক’কে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই নিম্নরুচির পরিচয়।