গোবিন্দ রায়: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। খোঁজ মিলল নতুন ‘রঞ্জন’-এর। বাগদার পর এবার নদিয়া (Nadia)। সুমন চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাকরির বিক্রির অভিযোগ তুলে নতুন করে মামলা দায়ের করলেন সুপর্ণা দাস রায় নামে এক মহিলা। তিনি চাকরিপ্রার্থী বলে জানা গিয়েছে। মামলাটি গ্রহণ করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুর তিনটে নাগাদ মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়। এই মামলায় অভিযুক্ত সন্দেহে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর ঘনিষ্ঠ মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনিও। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জাল বিস্তৃত বহু দূর। এবার তারই অংশ হিসেবে নদিয়ার সুমন চট্টোপাধ্যায়ের হদিশ মিলল। সুপর্ণা দাস রায় নামে এক মামলাকারীর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিতেন সুমন।
[আরও পড়ুন: হাসপাতালে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অর্পিতা, ‘আমি ষড়ষন্ত্রের শিকার’, দাবি পার্থর]
অভিযোগ আরও গুরুতর সুমনের বিরুদ্ধে। নিজে পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক এই সুমন চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, নিজেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্য ও দিব্যেন্দু বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করতেন সুমন। দাবি করতেন, তিনি কাউকে চাকরি ‘পাইয়ে দেওয়া’র ক্ষমতা রাখেন। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন সকলের। টাকা না দিতে পারলে সোনাও নিতেন সুমন। এই সুমনকেই ‘নতুন রঞ্জন’ বলে দাবি করেছেন সুপর্ণাদেবী। এই মর্মে তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁর এজলাসে মামলার শুনানি হওয়ার কথা দুপুর ৩টে নাগাদ।
[আরও পড়ুন: অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার সেক্স টয়! গুঞ্জনে মজেছে নেটদুনিয়া]
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়া অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের একটি ফেসবুক পোস্ট আদালতের নজরে আনেন মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। যেখানে মন্ত্রী উপেন সরাসরি চন্দন মণ্ডলের নাম উল্লেখ না করলেও, জনৈক ‘বাগদার রঞ্জন’ এই দুর্নীতির হোতা বলে উল্লেখ করেছিলেন। এরপরই রাজ্যজুড়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘রঞ্জন’। গত ১৯ তারিখ হাই কোর্টে এই মামলার শুনানির সময় আদালতে তাকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।