সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের সেনার উপরে জঙ্গি হামলা কাশ্মীরে। গত রবিবার কাশ্মীরে গিয়ে সন্ত্রাসদমনের নানা স্ট্র্যাটেজি আলোচনা করেছিলেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তার পরদিন থেকেই লাগাতার সেনাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানাচ্ছে জঙ্গিরা। সোমবার রাজৌরির সেনা পিকেটের পর মঙ্গলবার ভোরে বাট্টাল সেক্টরে হামলা হয়েছে জওয়ানদের উপর। জানা গিয়েছে, গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক জওয়ান।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে কয়েকজন জঙ্গি। জম্মুর বাট্টাল সেক্টর পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল সন্ত্রাসবাদীরা। তাতে বাধা দেয় সেনা। শুরু হয় দুপক্ষের গুলির লড়াই। ইতিমধ্যেই এক জওয়ান আহত হয়েছেন বলে সেনা (Indian Army) সূত্রে খবর। জঙ্গিদের হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে গোটা এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চলছে। উল্লেখ্য, জম্মুর এই এলাকাগুলোতে আগে জঙ্গি কার্যকলাপ প্রায় ছিল না বলেই মনে করেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: জম্মুতে ঘাঁটি গেড়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ৪০ পাক জঙ্গি! সতর্ক সেনা]
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজৌরির গুন্ধা এলাকার একটি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ভোর চারটে নাগাদ এই হামলার পরেই পালটা গুলি চালাতে শুরু করে সেনা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলেছে দুপক্ষের মধ্যে। পরে জানা যায়, জঙ্গি হামলায় আহত হয়েছেন এক জওয়ান। হামলার পরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা। যদিও কোনও জঙ্গির খোঁজ মেলেনি।
পরিসংখ্যান বলছে, ১ জানুয়ারি থেকে কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি হামলায় সেনার এক মেজর-সহ ১২ জন নিরাপত্তারক্ষী এবং ১০ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে, জম্মু অঞ্চলে, বিশেষ করে তার সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে পাঁচ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে। এসবকিছুই দেখে গোয়েন্দাদের অনুমান, সাম্প্রতিক হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানে স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের (SSG) অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যও হতে পারে অথবা সন্ত্রাসবাদীদের গেরিলা যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা।