সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্জেন্টিনা (Argentina) প্রশ্ন তুলতে পারে, সেই ভয়ে ফিফা অ্যান্থনি টেলরকে ফাইনাল ম্যাচের দায়িত্বই দেয়নি। অ্যান্থনি টেলর (Anthony Taylor) ইংল্যান্ডের নামজাদা একজন রেফারি। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনার দৌড়ে তিনি নেই। অ্যান্থনি টেলরের হাতে যদি ফাইনাল ম্যাচের বাঁশি থাকত, তাহলে প্রশ্ন উড়ে আসত আর্জেন্টিনা শিবির থেকে। রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠত। সেই কারণেই বিতর্ক হতে পারে এমন কোনও দেশের রেফারির হাতে দায়িত্ব দিতে চায়নি ফিফা।
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী টেলরকে কাতারে রেখে দেওয়া হয়েছিল।অন্যদিকে ইংল্যান্ডেরই মাইকেল অলিভারকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনার (Englnad vs Argentina) মধ্যে যুদ্ধ লেগেছিল ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে। ১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনী এই দ্বীপ দখল করে নেয়। সেই যুদ্ধ নিয়ে এখনও চর্চা হয়। আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল যদি ইংল্যান্ডের রেফারি পরিচালনা করেন, তাহলে নীল-সাদা জার্সিধারীরা রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে পারে। চলে আসতে পারে সেই ফকল্যান্ড-যুদ্ধের কথা।
[আরও পড়ুন: হুমকি দিয়েছিলেন মেসিকে, ‘এলএম ১০’-এর কাছে এবার হার স্বীকার করে নিলেন মেক্সিকোর সেই বক্সার]
ক্রোয়েশিয়াকে সেমিফাইনালে হারানোর পরে আর্জেন্টিনার উদযাপন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। মেসিদের সাজঘরে জলের বোতলের ছিপি খুলে উড়েছে কাল্পনিক শ্যাম্পেন। এর মাঝে ব্রাজিল, ইংল্যান্ডকে গালমন্দ করে বিতর্ক তৈরি করেন ওটামেন্ডি, মার্টিনেজ, আলভারেজরা। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ভিডিও শেয়ার করতেই শুরু হয় বিতর্ক। তেড়ে আসে ব্রিটিশ মিডিয়া। যাবতীয় বিতর্কের মূলে ছিল মেসির সতীর্থদের গাওয়া গান। যা তাঁরা কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে আর্জেন্টিনায় সুপারহিট। জাতীয় ফুটবল দলের খেলার সময় গ্যালারিতে যা মন্ত্রের মতো আওড়াতে থাকেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। যেখানে বলা হচ্ছে, ‘কোথায় গেলে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল? রিওতে গিয়ে মেসি ট্রফি নিয়েছে। আমরা আর্জেন্টাইন, আমরা বিশ্বাস করি এবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হব। আমরা আর্জেন্টাইন। নির্বোধ ইংল্যান্ড। আমরা ফকল্যান্ড ভুলিনি।’
ফকল্যান্ড যুদ্ধের প্রসঙ্গ রয়েছে এই গানে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ইংল্যান্ডের রেফারির হাতে দায়িত্ব তুলে দিলে তা বিতর্কে ঘি ঢালা হত।বিশ্বকাপ ফাইনালে রেফরিং করবেন পোল্যান্ডের সাইমন মার্সিনিয়াক। আর্জেন্টিনা যেহেতু ফাইনালে তাই ব্রাজিলিয়ান রেফারিকেও দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না।