সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযোগে এখনও অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অনুপ মাজিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না সিবিআই (CBI)। তার আইনি রক্ষাকবচের মেয়াদ আরও বাড়ল। আগামী বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি। তার আগে পর্যন্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারই অভিযুক্তের আইনি রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হত। তার আগেই আরও বাড়ানো হল তার মেয়াদ।
রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীনই কয়লা কাণ্ডের (Coal scam) কিনারায় তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করে আরও সূত্র হাতে আনার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। সোমবার বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাওকে সমন পাঠিয়ে মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, তলব পেয়ে তিনি নির্ধারিত সময়েই সিবিআই দপ্তরে পৌঁছন। তাঁকে কয়লা পাচার সংক্রান্ত খুঁটিনাটি প্রশ্ন করা হয়। দক্ষিণবঙ্গে কয়লা পাচারের কেন্দ্র কী ছিল, কাদের মাধ্যমে এই চক্র চলত – বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারের কাছ থেকে এসব জানতে চান সিবিআই তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এদিন নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে গিয়েছিলেন বিএসএফের (BSF) স্পেশ্যাল ডিজি পঙ্কজ সিংও। সীমান্তে গরু ও কয়লা চোরাচালানের বিষয়ে সিবিআই কর্তাদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন। এর আগে বিএসফের প্রাক্তন কমান্ডার সতীশ কুমারকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
[আরও পডুন: ‘শীতলকুচিতে প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ভিডিও মুছে দিয়েছে পুলিশ’, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির]
কয়লা পাচার কাণ্ডে ED’র সঙ্গে দ্রুতগতিতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ভারত ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা এই চক্রের চাঁইদের ধরতে তৎপর গোয়েন্দারা। বিনয়ের ভাই বিকাশের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই। পরে দিল্লি থেকে বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত পুরুলিয়ার ব্যবসায়ী অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জালে আনতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) থেকে তিনি আইনি রক্ষাকবচ পাওয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে গ্রেপ্তারি।