রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: গণেশ পুজোর দিনেই ভবানীপুরের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তৃণমূলের গড় ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (Priyanka Tibrewal)। প্রার্থী ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওই আসনের তারকা প্রচারকদের তালিকাও প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহলমহল।
বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই দলের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। পরপর দু’বার আসানসোলের সাংসদও হয়েছেন। পেয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার বুঝিয়ে দিয়েছিল বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) তাঁদের কাছে ভরসার জায়গা। সেই কারণেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জের মতো আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু সফলতা আসেনি। তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি। এরপর থেকে দলের সঙ্গে বেড়েছিল দূরত্ব। পরবর্তীতে মন্ত্রী পদ ছাড়তে হয় তাঁকে। যার অল্প সময়ের ব্যবধানে রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তারকা সাংসদ। তবে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘তন্ময়কে নাক ঘষে ঘষে দলে ফিরতে হবে’, তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক প্রসঙ্গে মন্তব্য সৌমিত্র খাঁ-র]
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে দেখা যায়নি তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিজেপি ভবানীপুরের স্টার ক্যাম্পেনারের তালিকা প্রকাশ করতেই উঠছে নানা প্রশ্ন। রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানো সত্ত্বেও কেন তারকা প্রচারকের তালিকার তাঁর নাম? হিসেব মতো এখনও সাংসদ তিনি, পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগও করেননি তিনি। সেই কারণেই কি ভবানীপুরের মাটিতে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে বাবুল সুপ্রিয়র ইমেজকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি? যদিও বাবুল সুপ্রিয়র নাম থাকলেও আদৌ তাঁকে প্রচারে দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এবিষয়ে এখনও সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বাবুল সুপ্রিয় এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে দল।
উল্লেখ্য, বিজেপির ভবানীপুরের তারকা প্রচারকদের তালিকায় নাম রয়েছে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, অগ্নিমিত্রা পল, রুদ্রনীল ঘোষ, স্মৃতি ইরানি, শাহনাওয়াজ হোসেন, হরদীপ সিং পুরী-সহ অন্যান্যরা।