shono
Advertisement

হোটেলে মিলবে না বারবি-কিউ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে থাকবেন মেসিরা

মেসিদের রান্না করার জন্য বিশেষ শেফকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
Posted: 11:36 AM Nov 18, 2022Updated: 02:57 PM Nov 18, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেট, থুড়ি জিভ বড় বালাই। তাই তো সাত তারা হোটেলের বিলাস-আমোদ ছেড়ে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাউনি ফেললেন লিওনেল মেসিরা। উদ্দেশ্য? সেখানে দেদার ‘বারবিকিউ’ করতে পারবেন তাঁরা। চেটেপুটে সাবাড় করতে পারবেন মাংসের বিভিন্ন পদ। যার জন্য আবার আর্জেন্টিনা (Argentina) থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে বিখ্যাত আসাদো শেফকে। সঙ্গে অবশ্যই কিলো কিলো মাংস।

Advertisement

কাতারে (Qatar World Cup) মাংসের অভাব নেই। কিন্তু তাতে মন ভরছে না মেসি, ডি মারিয়া, ডিবালাদের। লাতিন আমেরিকায় যে মাংস পাওয়া যায়, তাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বলা হয়। আর্জেন্টাইন ফেডারেশনের এক কর্তার বক্তব্য, “আমাদের টিম দুনিয়ার সেরা। তাই তাদের জন্য সেরা মাংসও প্রয়োজন। এই কারণেই আমরা অন্য টিমের মতো বিলাসবহুল হোটেলে থাকার বদলে এখানে থাকা বেছে নিয়েছি।” লাতিন আমেরিকায় বিভিন্ন বারবিউকিউ পদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ‘আসাদো’। জিভে জল আনা ‘আসাদো’ তৈরিতে হালকা পুর সহযোগে সাজানো হয় বিফ স্টিক, সসেজ। সঙ্গে থাকে মোটা দানার নুন। সেই মাংসকে যোগ্য সঙ্গত দেয় স্যালাড এবং অবশ্যই কুলীন শ্রেণীর ওয়াইন। যদিও কাতারের নিয়ম মেনে মেসিদের মাংসের স্বাদ নিতে হবে ‘শুকনো’ গলাতেই। বৃহস্পতিবার সকালে দোহায় পা রেখেই লিওনেল স্কালোনি সদলবল সোজা চলে গিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।

[আরও পড়ুন: কাপ জিতলে থেকে যেতে পারেন তিতে, চোট এড়াতে প্রস্তুতি ম্যাচে ‘না’ ব্রাজিল কোচের]

তবে ভাবার কোনও কারণ নেই যে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কষ্টে থাকতে হবে মেসিদের। দোহা শহরের শেষপ্রান্তে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসের ৯০টি ঘর সাজিয়ে তোলা হয়েছে আর্জেন্টিনা টিমের জন্য। যেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক জিম, অলিম্পিকের নিয়ম মেনে প্রমাণ সাইজের সুইমিং পুল, দশ হাজার দর্শক আসন বিশিষ্ট ফুটবল স্টেডিয়াম। আর্জেন্টিনা ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ-সহ বাকিদের থাকতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ঢেলে সাজানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মেল স্টুডেন্ট হাউজিং। ক্যাম্পাসের লবিটির যে নয়া রূপ দেওয়া হয়েছে, তা কোনও অংশে পাঁচতারা হোটেলের থেকে কম নয়। ওপেন এয়ার স্পেসে করা হয়েছে বারবিকিউ-র ব্যবস্থা।

এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে দু’মাস আগে সব পড়ুয়াদের এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝুলেছে তালা। ফলে পড়াশুনায় কোনও ক্ষতিও হবে না পড়ুয়াদের। আর্জেন্টিনার মতো স্পেনও উঠছে এই ধরনেরই একটি ক্যাম্পাসে। মেসির দেশের ফেডারেশনের সেই কর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, “এবার কাপ জেতা ছাড়া আমরা অন্য কিছু ভাবছি না। আমাদের সাম্প্রতিক ফর্ম দারুণ। কোপা আমেরিকাও জিতেছি আমরা। তার জন্য ফুটবলারদের ঘরোয়া পরিবেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার জন্যই এই ব্যবস্থা।” দেখার শুধু এত আয়োজনের পর টুর্নামেন্ট শেষে মেসিদের ড্রইংরুমে কাপের সঙ্গে থাকা ফটোফ্রেম ঝোলে, নাকি হতাশা নিয়েই ফের ফিরতে হয়?

[আরও পড়ুন:পর্তুগাল বিশ্বকাপ জিতলে অবসর রোনাল্ডোর! সিআর সেভেনের মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement