সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতেই ফিরছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। পদ্মশিবিরে প্রত্যাবর্তনের জল্পনায় অবশেষে সিলমোহর দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বারাকপুরের ‘বাহুবলী’। তাঁর সঙ্গে আরও বড় নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেই বিস্ফোরক দাবি করলেন অর্জুন। তবে কে সেই নেতা, তা স্পষ্ট করেননি।
অর্জুন সিং বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, “আজ না হয় কাল বিজেপিতে যাবই।” পদ্মশিবির সূত্রে খবর, তাঁকে আর আগের মতো করে হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে ফেরাতে নারাজ বিজেপির অনেকেই। সে কারণেই বুধবার চুপিসারে নাকি বিজেপিতে ফিরে গিয়েছেন অর্জুন। তবে বারাকপুরের নেতা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছুই জানাননি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কার্যত বোমা ফাটান বারাকপুরের নেতা। তিনি বলেন, “বারাকপুরের হাজার হাজার লোক বিজেপিতে যোগ দেবেন। লাইনে বড় এক নেতাও রয়েছেন।” সেই ‘বড় নেতা’ কে? ঠিক লোকসভা নির্বাচনের মুখে কে ফুলবদল করতে চলেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: মমতার হাত ধরে যোগ দেন তৃণমূলে, হরিয়ানায় বিজেপির প্রার্থী তালিকায় সেই নেতা]
বুধবার জলপাইগুড়ির উত্তরকন্যায় সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুনকে ‘বিজেপি সাংসদ’ বলেই দাবি করেছেন খোদ মমতা। সে কথা শুনে নাকি ‘আঘাত’ পেয়েছেন অর্জুন। তাঁর দাবি, “আমি ব্রিগেডের মঞ্চে ছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাকে শুনতে হল আমি বিজেপির সাংসদ। তা হলেই বুঝুন দলটার কী অবস্থা!” একাধিকবার ‘দলবদলু’ অর্জুনের আরও দাবি, “তৃণমূলে ফেরা তাঁর ভুল ছিল। আর তৃণমূল করব না। আমৃত্যু বিজেপিই করব।”
উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা ভোটের আগের চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি ঘটল চব্বিশের ভোটের আগে। উনিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে শিবির বদল করেছিলেন ভাটপাড়ার ‘বাহুবলী’ অর্জুন। বিজেপির টিকিটে জিতেও আসেন। কিন্তু একুশের ভোটে তাঁর খাসতালুক নৈহাটি, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কোনও ম্যাজিক দেখাতে পারেননি। উলটে বোমাবাজি, তোলাবাজি, গুন্ডামির মতো অভিযোগ আসছিল অর্জুনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন অর্জুন সিং। কিন্তু শাসক দলের সঙ্গে তাঁর সুর মিলছিল না। বার বার তাল কাটছিল। এর মধ্যে লোকসভা ভোটের আগে শাসকদলের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও অর্জুন সিংয়ের দ্বন্দ্ব। সূত্রের খবর, দ্বন্দ্বের জেরেই লোকসভার টিকিট কাটা যায় অর্জুনের। তার পর থেকেই ফের পদ্মে আশ্রয় খুঁজছিলেন তিনি। প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন খোদ অর্জুনই।