সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)। আতঙ্কে বাড়িছাড়া সংখ্যালঘু কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একাংশ। ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের উপত্যকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছে জঙ্গিরা। এহেন সংকট কালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে জম্মুর উদ্দেশে রওনা দিলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে (M M Naravane) ।
[আরও পড়ুন: এ কেমন জেহাদ? এবার মুসলিমদেরই খুন করার হুমকি দিল ইসলামিক স্টেট]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার জম্মুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন জেনারেল নারাভানে। দু’দিনের এই সফরে ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ফরওয়ার্ড পোস্টগুলিতেও যাবেন সেনাপ্রধান। সেখানে স্থানীয় কমান্ডারদের হাতে সরেজমিনে সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন তিনি। পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীরে চলা সন্ত্রাস দমন অভিযান নিয়েও সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানেকে সমস্ত তথ্য জানাবেন সেনা আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। একদিকে পাক জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। অন্যদিকে, একের পর এক ভিনরাজ্যের শ্রমিককে খুন করছে জঙ্গিরা। রবিবারও কুলগামে (Kulgam) বিহারের (Bihar) দুই শ্রমিককে খুন করে জঙ্গিরা। গুরুতর আহত হন আরও একজন। আর এই ঘটনায় পুরোপুরি দায় স্বীকার করল লস্কর-ই-তৈবার নয়া সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট জম্মু এবং কাশ্মীর বা ULF। সবমিলিয়ে, ১১ জন সাধারণ নাগরিক ও বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন উপত্যকায়।
বিশ্লেষকদের মতে, শীতের আগে কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটতে চাইছে পাকিস্তান। কারণ, শীতের মরশুমে বরফ পড়ে পীরপাঞ্জলের গিরিখাতগুলি অগম্য হয়ে যায়। ফলে সেই সময় সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ কার্যত বনধ হয়ে যায়। তাই আগস্ট মাস থেকেই কাশ্মীরে জেহাদিদের পাঠাতে শুরু করে আইএসআই ও পাকসেনা।