সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী। জানতে চেয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অভিযোগ করেছিলেন যে, সঠিক তথ্য সাধারণকে জানানো হচ্ছে না। এবার তা নিয়ে ঘোর বিপাকে পড়লেন তিনি। অসমের এক আদালত এবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কেজরির বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল।
[ বানরের স্বভাব কাটিয়ে মানুষের মতো খেতে শিখেছে ‘বন্য’ বালিকা ]
ঘটনার সূত্রপাত গত ডিসেম্বরে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা মোটে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। তারপর তাঁর ডিগ্রির আর কোনও হদিশ মিলছে না। এ ব্যাপারে এক আরটিআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরেও তিনি জানান, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানাতে অস্বীকার করেছে। কিন্তু কেন এই গোপনীয়তা, সে প্রশ্নই তোলেন কেজরি। জানান, তিনি নিজে আইআইটি খড়গপুরে পড়াশোনা করেছেন। তাই আইআইটি তাঁর ডিগ্রি জানাতে কোনও দ্বিধা করে না। মোদির ক্ষেত্রে যেহেতু অস্বচ্ছতা তাই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই খানিকটা সংশয় প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
কেজরির এই তোপে প্রধানমন্ত্রী অবশ্য পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। কিন্তু অসমের এক আদালতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ আনেন জনৈক ব্যক্তি। তার ভিত্তিতেই গত ৭ এপ্রিল আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু তিনি উপস্থিত না হওয়াতেই এবার জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। যদিও তা জামিনযোগ্য।
[ পুরুষ দেখলেই পোশাক খুলে ফেলতেন এই রোগিণী, তারপর… ]
এদিকে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা দ্বিগিজয় সিং। তাঁর দাবি, মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কী এমন অন্যায় করেছেন কেজরি। এটা কি কোনও অপরাধ যে তাঁর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে। পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা জানানোর অস্বচ্ছতা নিয়েও আজ টুইটে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
The post মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়ে গ্রেপ্তারের মুখে কেজরি appeared first on Sangbad Pratidin.