সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রিপ প্রতি এক লক্ষ টাকা পেত দেবাসী কুলশ্রেষ্ঠ। জেট এয়ারওয়েজের বিমানসেবিকা। বিপুল অর্থ পাচারের দায়ে বর্তমানে যে শ্রীঘরে বিরাজ করছে তারই এক সঙ্গী-সহ। ধৃত দেবাসীর স্বামীও ছিলেন জেটেরই প্রাক্তন কর্মচারী। বর্তমানে এক প্লেসমেন্ট সংস্থায় তিনি কর্মরত। এক বছর আগে দেবাসীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তদন্তে জানা যাচ্ছে, দেবাসীর এই স্বামীই প্রতি মাসে স্ত্রীর পাওয়া এক লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতেন। কিন্তু রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের দাবি, সেই টাকার উৎস সম্পর্কে তার স্বামী কিছুই জানতেন না। অর্থাৎ ওই অর্থ কোথা থেকে আসছে, কে বা কারা এর জোগান দিচ্ছে-সে সম্পর্কে দেবাসীর স্বামী সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন। দেবাসী নিজেও এ বিষয়ে স্বামীকে কিছুই জানায়নি। পুলিশি জেরার মুখে বুধবার এ কথা কবুল করেছে ধৃত বিমানসেবিকা।
[৩.২ কোটির ডলার পাচারের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা পড়ল বিমানসেবিকা]
এদিন সে পুলিশকে আরও দু’জনের নাম জানিয়েছে। তারা দু’জনেই জেটের কর্মী এবং দু’জনেই হাওয়ালা চক্রের সঙ্গে জড়িত। দেশের কোটিপতিদের কালো টাকা সাদা করার কাজে সাহায্য করছিল বেসরকারি বিমান সংস্থায় কর্মরত দেবাসী। গত দু’মাসে সাতবার হংকংগামী উড়ানে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার পাচার করেছে সে। সোমবার ভোরে দিল্লি বিমানবন্দরে দলবল নিয়ে হাজির হন রাজস্ব বিভাগের গোয়েন্দারা। হংকংগামী উড়ানে ততক্ষণে উঠে পড়েছে দেবাসী। সেখানেই প্রত্যেক বিমানকর্মীর তল্লাশি নেওয়া হয়। দেবাসীর ব্যাগ ও চেক-ইন লাগেজ থেকে পাওয়া যায় ৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা মূল্যের মার্কিন ডলার। ওই অর্থের উৎস সম্পর্কে তখন কিছুই বলতে পারেনি দেবাসী। পরে তাকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, অমিত মালহোত্রা নামে এক ব্যক্তির কথাতেই এক শতাংশ কমিশনের চুক্তিতে এই অর্থ পাচারের কাজ করা হয়েছে। ভারতীয় কোটিপতিদের ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে গিয়ে সোনা হয়ে ফের ফিরে আসত দেশেই। আর এই কাজেই অমিতকে সাহায্য করতে দেবাসী।
[বিমানসেবিকার সঙ্গে অভব্য আচরণ, ক্ষমা চাইতে কী করল অভিযুক্ত?]
The post পাচার প্রতি ১ লক্ষ টাকা পেত জেট এয়ারওয়েজের বিমানসেবিকা appeared first on Sangbad Pratidin.