সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও ২৪ ঘণ্টা কাটেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করার জন্য ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে তাঁর। কিন্তু, এসব কিছুকে হেলায় উড়িয়ে ফের মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শনিবার কটাক্ষের সুরে বলেন, ভুয়ো বলেই শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশ্যে আনতে প্রধানমন্ত্রীর এত সমস্যা।
সাংবাদিক বৈঠক করে শনিবার কেজরি বলেন, “গুজরাট হাই কোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় আরও বেড়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) কতদূর পড়াশোনা করেছেন, জানতেই পারছেন না মানুষ। কয়েক বছর আগে অমিত শাহ সাংবাদিক বৈঠক করে ডিগ্রি দেখিয়েছিলেন। ডিগ্রি যদি যথার্থ হয়, তাহলে দেখাতে সমস্যা কোথায়?”
[আরও পড়ুন: এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! বড়সড় ঘোষণা রাজ্যের]
মোদিকে আক্রমণের সুর আরও তীব্র করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি না দেখানোর পিছনে দু’টি কারণ থাকতে পারে। হতে পারে, অহঙ্কারী তিনি। ভাবতে পারেন, ‘আমি কেন ডিগ্রি দেখাব! আমার ডিগ্রি দেখতে চাওয়ার এরা কে? এদের কী যোগ্যতা?’ আর দ্বিতীয়ত, হতে পারে যে, ভুয়ো বা নকল বলেই ডিগ্রি দেখানো হচ্ছে না।” কেজরির কথায়, মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ঘুরছে। এত লুকোছাপা কেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, তা নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বহু দিন। এ বিষয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে মামলা করেছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু, শুক্রবার গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের একক বেঞ্চ নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার নিয়ে কোনও প্রমাণ দেখাতে হবে না। এ বিষয়ে মামলা করার জন্য কেজরিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। সেই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের সুর চড়ালেন কেজরি।