সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) প্রসঙ্গ নিয়ে দিনভর উত্তাল রইল দিল্লি বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপি (BJP) বিধায়ক মোহন সিং বিস্ত দাবি করেন, মণিপুর ইস্যু নিয়ে কারওর কোনও মাথাব্যথা নেই। এই মন্তব্যের পালটা দিয়ে অধিবেশন কক্ষে স্লোগানিং শুরু করেন আপ (AAP) বিধায়করা। কার্যত ধুন্ধুমার বেঁধে যায় দিল্লি বিধানসভায়। চার বিজেপি বিধায়ককে মার্শাল ব্যবহার করে সভাকক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। দিনের শেষে অধিবেশন (Delhi Assembly) চলাকালীন মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) কটাক্ষ করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)।
মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে নোটিস দিয়েছিলেন আপ বিধায়ক দুর্গেশ পাঠক। কিন্তু বিজেপির দাবি ছিল, দিল্লি বিধানসভায় দিল্লির সমস্যা নিয়েই আলোচনা হওয়া দরকার। মণিপুর নিয়ে কারোওর কিছু যায় আসে না। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার রাখি বিড়লা বলেন, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভাতেও মণিপুর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মণিপুর ইস্যুতে সত্যিই কি আলোচনার প্রয়োজন নেই? তাছাড়াও দীর্ঘক্ষণ দিল্লির সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বিজেপি বিধায়করা সেখানে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না বলেও জানান ডেপুটি স্পিকার।
[আরও পড়ুন: দিলীপকে দিল্লিতে জরুরি তলব শাহর, এবার কি মানভঞ্জনের পালা?]
এই মন্তব্যের পালটা দিতে গিয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন আপ ও বিজেপির বিধায়করা। তুঙ্গে ওঠে দুই দলের বচসা। শেষ পর্যন্ত চার বিজেপি বিধায়ককে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর ফের শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। সেই সময়েই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধে ভাষণ দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, গত নয় বছরে দেশ যখনই কোনও বিপদে পড়েছে তখনই মৌনব্রত নিয়েছেন মোদি।
দিল্লি বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, “বাবার মতো হওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু মণিপুরে নিজের কন্যাদের ত্যাগ করে নিজে বাড়িতে বসে রয়েছেন তিনি। সারা দেশ জানতে চাইছে, মণিপুর নিয়ে মোদি চুপ কেন? তবে এই প্রথমবার তিনি চুপ করে আছেন এমনটা নয়। গত নয় বছরে যখনই কোনও সংকট দেখা দিয়েছে, তখনই মোদি চুপ করে থেকেছেন।”