বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিন থেকেই ১০ দিনের ‘বিপাসনা’ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন আম আদমি পার্টির (Aam Aadmy Party) প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ওই ১০ দিন অজ্ঞাতবাসে থাকবেন তিনি। প্রতি বছরই ১০ দিন অজ্ঞাতবাসে থেকে যোগাভ্যাস করেন কেজরি। এতে নতুন কিছু নেই। কিন্তু এবার যেভাবে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিন এই কর্মসূচি তিনি ঘোষণা করলেন, তাতে বহু জল্পনা তৈরি হচ্ছে।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টে থেকে দিল্লিতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বৈঠক বসবে। পাটনা, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের পরে এটি চতুর্থ বৈঠক। সেখানে প্রধান আলোচ্য বিষয় রাজ্যে রাজ্যে ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতা। পাশাপাশি লোকসভা ভোটে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) কী কী বিষয় নিয়ে ভোটে যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। সব দলের যৌথ জনসভা নিয়েও কথা হবে। এই বৈঠকের পরেই খুব শীঘ্রই ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকও ডাকা হবে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি আসছেন। অথচ সেই বৈঠকে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) থাকা নিয়ে বড়সড় সংশয় তৈরি হয়ে গেল।
[আরও পড়ুন: সংসদে গ্যাস হামলায় গ্রেপ্তার আরও এক, এবার জালে অন্যতম চক্রী মহেশ]
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) আয়োজনে পটনায় ১৫টি বিজেপি-বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের দিশানির্দেশ খুঁজতে প্রথম বৈঠক করেছিলেন। এর পরে ১৭-১৮ জুলাই কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত বৈঠকে অংশ নেয় ২৬টি দল। জোটের নয়া নাম হয় ‘ইন্ডিয়া’। সেই সঙ্গেই কার্যত মুছে যায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের অস্তিত্ব। এর পরে ২৫-২৬ অগস্ট মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র তৃতীয় বৈঠকটি হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষে কেজরিওয়াল ক্ষোভে বৈঠক স্থল ছাড়েন বলে শোনা গিয়েছিল। তার পর এই বৈঠকে তাঁর না থাকা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা।
[আরও পড়ুন: সৌরভকে দেখে বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে দাঁড়ালেন আরেক সৌরভ! তারপর…]
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আচমকাই কর্মসূচি ঘোষণা করে দেওয়ায় চিন্তায় জোট নেতৃত্ব। কারণ দিল্লিতে বৈঠক অথচ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সেখানে অনুপস্থিত থাকলে কটাক্ষ করতে ছাড়বে না গেরুয়া শিবির। তাই কেজরিওয়াল নিজে আসতে না পারলে যাতে দলের হেভিওয়েট কাউকে পাঠান সেই চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন জোটের নেতারা।