সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে প্রবেশ করল বর্ষা। অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল মৌসম ভবনের পূর্বাভাস। নির্ধারিত সময়েই কেরলে প্রবেশ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।
শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা। রবী ঠাকুরের লেখা এই গানের দিন এল বলে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাসের মর্যাদা রেখে ১ জুন কেরলে প্রবেশ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। আর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু মানেই দেশে বর্ষার (Monsoon) আগমন। ভারতের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল বর্ষার জলের উপরেই। জুনের প্রথম সপ্তাহে কেরলের দক্ষিণ প্রান্তে প্রবেশ করে এই বায়ু। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই চার মাস দেশে ৭৫ শতাংশ বৃষ্টিপাত হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে। সেই বর্ষার জলের উপর নির্ভর করেই চলে দেশের অধিকাংশ চাষ-বাস।
[আরও পড়ুন:জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে দুস্থদের পাশে দাঁড়ালেন ঠেলাচালক, চাকরির আশ্বাস বিপ্লব দেবের]
আবহাওয়া বিভাগের মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, “দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কেরলের আকাশে ঢুকে পড়েছে। এই বায়ুর প্রভাবে জুনের প্রথম সপ্তাহে কেরলের একদম দক্ষিণ প্রান্তে বৃষ্টিপাত হয়। তারপর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাস ধরে সারা দেশে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সেপ্টেম্বরে রাজস্থান থেকে বিদায় নেয় বর্ষা।” তবে কেরলে সঠিক সময়ে বর্ষা প্রবেশ করায় ভারতের বাকি রাজ্যগুলিতেও সঠিক সময়েই বাদলা দিনের মেঘ ঘনাবে বলেই আশা করছেন আবহবিদরা। চলতি বছরে বর্ষা বিশেষ কার্পণ্য করবে না বলেই আগে পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত হবে দেশে।
[আরও পড়ুন:সঙ্কটকালে অন্য রাজ্যের নাগরিকদের চিকিৎসা দিতে নারাজ কেজরিওয়াল! বন্ধ দিল্লির সীমান্ত]
আইএমডি (IMD) জানিয়েছে যে, কেরলের ১৪টি আবহাওয়া স্টেশনে পরপর দু’দিন ২.৫ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হলে বলা যায় বর্ষাকাল এসেছে। এই ১৪টি স্টেশন হল, মিনিকয়, আমিনি, তিরুবনন্তপুরম, পুনালুর, কোল্লাম, আলাপ্পুঝা, কোট্টায়াম, কোচি, ত্রিশূড়, কোঝিকোড়, থালাসসেরি, কান্নুর, কুড়ুলু ও ম্যাঙ্গালোর। ফলে দ্রুত শুরু হতে পারে ঝরঝর মুখর বাদল দিনের গল্প।
The post বর্ষা এল দেশে, পূর্বাভাস মেনেই কেরলে প্রবেশ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু appeared first on Sangbad Pratidin.