সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর বিচার আজ, বুধবার যোধপুরে। পাঁচ বছর আগে ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। আজ বিশেষ আদালত এই মামলার সাজা ঘোষণা করতে চলেছে। সে কারণে কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
[ বিহার-উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের জন্যই দেশ পিছোচ্ছে, বিস্ফোরক নীতি আয়োগের সিইও ]
গোটা দেশে প্রায় ৪০০-রও বেশি আশ্রম আছে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর। ভক্তসংখ্যাও বহু। ২০১৩ সালে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। চার্জশিটে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে ধর্মগুরুকে। এছাড়া পাচার চক্র ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তারও অভিযোগ আছে ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। গত পাঁচ বছরে এই মামলার একাধিক সাক্ষীর কাকতালীয়ভাবে মৃত্যুও হয়েছে। ৯ জন সাক্ষীর উপর বিভিন্ন সময় আক্রমণ নেমে এসেছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। আসারামের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অম্রুত প্রজাপত, রাঁধুনি অখিল গুপ্তা ও অপর এক সাক্ষী ক্রিপাল সিংকে গুলি করে খুন করা হয়। হাই প্রোফাইল এই মামলা ঘিরে ইতিমধ্যে প্রায় দুর্গের চেহারা নিয়েছে যোধপুর। কেন্দ্রের নির্দেশে সর্বত্র নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আসারাম, তিনি থাকেন উত্তরপ্রদেশে। সেখানেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সকাল থেকেই ভক্তদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। হাতের সামনেই রয়েছে গুরমিত কাণ্ডের নিদর্শন। স্বঘোষিত সেই ধর্মগুরুকে শাস্তি দিতে গিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল গোটা হরিয়ানা। তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তাই সবরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজস্থান, গুজরাট ও হরিয়ানায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী।
বিশেষ সামার কোর্টে উঠছে এই মামলা। বিচারক তাই সকাল সকাল উপস্থিত হয়েছেন। একটার মধ্যেই মামলার রায় ঘোষণা হবে। অর্থাৎ আসারাম ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হল কিনা এবং কী সাজা হবে তা বেলা থাকতেই জানা যাবে। এর মধ্যে ভক্তদের তাণ্ডব শুরু হতে পারে। তিন রাজ্যের সরকারকেই তাই এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। কোনওরকম হিংসার ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। দোষী সাব্যস্ত হলে ন্যূনতম দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে ৭৭ বছর বয়সি এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর।
The post কিশোরী ধর্ষণের দায়ে আজ কাঠগড়ায় আসারাম, কড়া নিরাপত্তা যোধপুরে appeared first on Sangbad Pratidin.