পাকিস্তান: ২৩৭/৭ (মালিক-৭৮, সরফরাজ-৪৪)
ভারত: ২৩৮/১ (ধাওয়ান-১১৪, রোহিত-১১১*)
৯ উইকেটে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শর্ট বল করো না। ফুল লেংথও করো না। বলই করো না।’ রোহিত-ধাওয়ান জুটির মারকাটারি ইনিংসের সময় কি এমন কথাই মনে মনে বলছিলেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ? অস্বাভাবিক তো নয়। কারণ রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান তো শুধু পাক বোলারদেরই লজ্জায় ফেললেন না, বরং পাকিস্তানি সমর্থকদের আবেগের সঙ্গেও ছিনিমিনি খেললেন।
[মোহনবাগান নির্বাচনে বড় চমক, টুটু শিবিরের প্রচারে সৌরভ]
এশিয়া কাপে টিম রোহিতের মুখোমুখি হওয়ার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালই সরফরাজদের মাথায় যেন ভূত হয়ে চেপে বসেছিল। ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের স্বপ্নেই বুঁদ ছিলেন তাঁরা। তাই দুবাইতে যে ধাওয়ান-জাদেজারা সেই ভূতের এভাবে ঝাড়ফুক করবেন, বুঝতেই পারেননি। চলতি টুর্নামেন্টের প্রথম সাক্ষাতে একপেশে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্রিকেটভক্তদের তাই আশা ছিল, দ্বিতীয় সুযোগ নিশ্চয়ই কাজে লাগাবে দল। কিন্তু কোথায় কী? ভারতীয় আত্মবিশ্বাসের কাছেই তো ধোপে টিকতে পারল না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। গত বুধবারের ম্যাচ যদি একপেশে হয়, তবে এ ম্যাচকে কী বলা হবে! ওপেনিং জুটির পার্টনারশিপ ভাঙল ২০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে। তাও রান আউট হয়ে ফিরলেন ধাওয়ান। বুমরা, চাহাল ও কুলদীপ যেখানে দুটি করে উইকেট তুলে নিলেন, সেখানে ম্যাচ শেষে পাক বোলারদের হাতে হ্যারিকেন। ভারতের জামাই শোয়েব মালিকই যা একটু খাটা-খাটনি করলেন। কিন্তু সবই অরণ্যে রোদন।
ক্রিজে দাঁড়িয়ে যেন নেট প্র্যাকটিক করলেন দুই ব্যাটসম্যান রোহিত ও শিখর। জোড়া সেঞ্চুরিতে এল প্রত্যাশিত জয়। সেই সঙ্গে অপরাজিত থেকে ওয়ানডে-তে ৭ হাজার রানও করে ফেললেন ক্যাপ্টেন রো-হিট শর্মা। একেই যে অধিনায়কোচিত পারফরম্যান্স বলা হয়, তা বলাইবাহুল্য। দুবাইয়ের বাইশ গজে যেন মরু ঝড় উঠল রোহিতের ব্যাটে। পাক ফিল্ডাররা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন তাঁর ক্যাচ মিস করার ফল। লড়াই করে নয়, চিরশত্রুকে তাঁরা দুরমুশ করলেন হাসতে হাসতে। লজ্জা নিবারণের বস্ত্রটুকুও যেন কেড়ে নিলেন ভারতীয়রা।
সীমান্তে একের পর এক হামলা। কখনও জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদ তো কখনও পুলিশকর্মীকে অপহরণ। সীমান্তের ওপার থেকে বারবার হুঙ্কার ছাড়ছে পাকিস্তান। অশান্ত পরিবেশে বাতিল হয়েছে দুই দেশের বৈঠক। এমন উত্তপ্ত পরিবেশে বাইশ গজে পাকিস্তান ক্রিকেটের কঙ্কালসার চেহারাটা তুলে ধরার কাজটাই করলেন রোহিতরা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বার্তা দিলেন, বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ডিয়ারা দলে না থাকলেও তাদের হারানোর জন্য ভারতের রিজার্ভ বেঞ্চও যথেষ্ট। বুঝিয়ে দিলেন, ওয়ানডে-তে ‘বাবা’র কাছে ‘ছেলে’রা এখনও শিশু। আর সেই বার্তাতেই অন্তর্নিহিত রইল ভারতীয় শক্তি।
The post ফের লজ্জায় নতজানু পাকিস্তান, হাসতে হাসতে জয়ী রোহিতরা appeared first on Sangbad Pratidin.