বাংলাদেশ: ১২৭-৭ (মোসাদ্দেক ৪৮, মহমুদুল্লাহ ২৫)
আফগানিস্তান: ১৩১-৩ (ইব্রাহিম জাদরান ৪২, নাজিবুল্লাহ জাদরান ৪৩)
আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup) স্বপ্নের দৌড় আফগানিস্তানের। শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশকেও কার্যত ধুলিস্যাৎ করে দিল আফগান ব্রিগেড। শারজায় রশিদ খানরা জিতলেন ৭ উইকেটে। ফলে প্রথম দেশ হিসাবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পৌঁছে গেলেন মহম্মদ নবি, রশিদ খানরা (Rashid Khan)। তালিবান শাসনে দুর্দশাগ্রস্ত আফগানরা মধুর উপহার পেলেন খেলার মাঠ থেকে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব-আল-হাসান (Shakib Al Hassan)। কিন্তু শাকিবের সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন আফগান বোলাররা। শুরুটা বিশ্রী হয় বাংলাদেশের। বাংলা টাইগারদের অনভিজ্ঞ দুই ওপেনার মাত্র ১৩ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শাকিব এবং মুশফিকদের মতো অভিজ্ঞ তারকারাও তেমন কিছু করতে পারেননি। একটা সময় মাত্র ২৮ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ (Bangladesh)। এরপর কিছুটা লড়াই শুরু করেন মহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শেষদিকে ৩১ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মোসাদ্দেক হোসেন (Mosaddek Hosein) বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান। বাংলার টাইগারদের ইনিংস শেষ হয় ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১২৭ রানে।
[আরও পড়ুন: আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তার মুখে বাড়ছে হার্দিকের ব্র্যান্ড ভ্যালুও, চুক্তি করতে মরিয়া বহু সংস্থা]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি আফগানদেরও। তাঁরাও ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায়। রান রেট শুরু থেকেই স্লো ছিল। ১৩ ওভারে মাত্র ৬২ রান তুলে ৩ উইকেট হারায় মহম্মদ নবির দল। কিন্তু সেখান থেকে ইব্রাহিম জাদরান এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান খেলার গতি পুরো পালটে দেন। ইব্রাহিম করেন ৪১ বলে ৪২ রান। আর অভিজ্ঞ নাজিবুল্লাহ করেন ১৭ বলে ৪৩ রান। ফলে ৯ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় আফগানরা।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হারানোর পর কেন জাতীয় পতাকা হাতে নেননি জয় শাহ? কী ব্যাখ্যা দিচ্ছে BCCI?]
জয়ের ফলে প্রথম দল হিসাবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে চলে গেল আফগানরা। অন্যদিকে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার জন্য পরের ম্যাচ মরণ-বাঁচন ম্যাচে পরিণত হল। যারা এই ম্যাচ জিতবে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসাবে তাঁরাই যাবে সুপার ফোরে।