ভারত: ১৯২-২ (সূর্যকুমার ৬৮, কোহলি ৫৯)
হংকং: ১৫২-৫ (বাবর হায়াত ৪১, কিঞ্চিত শাহ ৩০)
ভারত ৪০ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হংকংয়ের বিরুদ্ধে ভারত যে জিততে চলেছে, সেটা খেলা শুরু হওয়ার অনেক আগেই চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যেত। হলও সেটাই। দুর্বল প্রতিপক্ষকে ৪০ রানে হারিয়ে দিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে চলে গেল টিম ইন্ডিয়া। তবে এই ম্যাচের দিকে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের নজর ছিল অন্য কারণে। দীর্ঘদিন ধরে রানের মধ্যে না থাকা টিম ইন্ডিয়ার টপ অর্ডারের কাছে ফর্মে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ ছিল এদিন। প্রত্যাশা ছিল কে এল রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা এদিন ফর্মে ফিরবেন। সেটাও এদিন কমবেশি হল।
হংকংয়ের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে হয় ভারতকে। শুরুটা ভালই হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার (Team India)। অধিনায়ক রোহিত শর্মাও এদিন খানিকটা ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। শুরুর দিকে ১৩ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রথম ব্যাটার হিসাবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সাড়ে ৩ হাজার রানের গণ্ডি পেরোলেন রোহিত। রোহিতের (Rohit Sharma) উইকেটের পর ক্রিজে আসেন বিরাট। শুরুর দিকে এদিনও খুব একটা স্বচ্ছন্দে ছিলেন না কিং কোহলি। ছন্দে ছিলেন না কেএল রাহুলও (KL Rahul)। দুই ব্যাটার শুরুর দিকে বেশ ধীরগতিতেই এগোচ্ছিলেন। তবে দ্রুতই প্রাথমিক বিপত্তি কাটিয়ে ওঠেন বিরাট (Virat Kohli)। ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে দেখা যায় টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ককে। পুরনো মেজাজে ধরা দেন কোহলি।
[আরও পড়ুন: ‘শাহিনের সঙ্গে গুরুতর অন্যায় করছে বোর্ড’, বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের]
৪০ বলে ৫০ রানে পৌঁছে যান বিরাট। শেষপর্যন্ত ৪৪ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। শুধু হাফ সেঞ্চুরি করাই নয়। এদিনের ইনিংসে তিনটি বিশাল ছক্কাও হাঁকান তিনি। ইনিংসের শেষদিকে বিরাটকে দেখে মনে হচ্ছিল, যেন আবার আগের ছন্দে ফিরে গিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার বয়। তবে বিরাটের রানে ফেরার ম্যাচে আলো কেড়ে নিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। এদিন মাত্র ২৬ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। এই ইনিংসে মোট ৬টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। যার মধ্যে শেষ ওভারেই পরপর ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সূর্য। তাঁর ঝড়ো ইনিংসের সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৯২ রান তোলে ভারত।
[আরও পড়ুন: কেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাদ পড়লেন পন্থ? জাদেজার উত্তরে হতবাক সাংবাদিকরা]
বিশাল লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা নেহাত খারাপ করেনি হংকংও। পাওয়ার প্লে’র ভিতরই পঞ্চাশের গণ্ডি পেরোয় তারা। কিন্তু পাওয়ার প্লে’র শেষদিকে জাদেজার একটি দুর্দান্ত থ্রো’তে রান আউট হয়ে যান হংকংয়ের অধিনায়ক নিজাকত খান। সেখান থেকেই বদলে যায় খেলার গতি। খেই হারিয়ে ফেলে হংকং। ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে একেবারেই টের তুলতে পারেননি হংকংয়ের অনভিজ্ঞ ব্যাটাররা। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫২ রানে শেষ হয় হংকংয়ের ইনিংস। কিন্তু শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে হংকং দল যেভাবে পারফর্ম করল, সেটাও নেহাত কম নয়। এদিনের জয়ের ফলে দ্বিতীয় দল হিসাবে এশিয়া কাপের (Asia Cup) সুপার ফোরে পৌঁছে গেল ভারত। আর জিতলেও তরুণ আবেশ খান, বা অর্শদীপ সিংরা যেভাবে বল করলেন, সেটা চিন্তায় রাখবে টিম ম্যানেজমেন্টকে।