সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমি বেঁচে থাকতে অসমে আর বাল্যবিবাহ হতে দেব না।’ সোমবার অসম বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এইসঙ্গে জানিয়ে দেন, যেভাবেই হোক ১৯৩৫ সালের ‘মুসলিম বিবাহ এবং বিচ্ছেদ নথিভুক্তকরণ আইন’ বাতিল করবেন। গত শুক্রবার ওই আইন বাতিলের প্রস্তাব আনে বিজেপি (BJP) সরকার। অপরপক্ষে আইন ফেরানোর দাবি তুলে বিধানসভায় সরব হন বিরোধীরা। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। যদিও হিমন্ত নিজের সিদ্ধান্ত অনড়।
গত বছর বাল্যবিবাহ রুখতে ‘কুখ্যাত’ অভিযান চালানো হয়েছিল গোটা অসম (Assam) জুড়ে। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৩,৪৮৩ জনকে। এই ঘটনায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিল বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি ‘মুসলিম বিবাহ এবং বিচ্ছেদ আইন’ বাতিলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত দেশের প্রবীণতম সাংসদ, ভুগছিলেন বয়সজনিত অসুখে]
যদিও বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সোমবার হিমন্ত বলেন, ‘ভাল করে শুনে নিন, যত দিন বেঁচে আছি, অসমে বাল্যবিবাহ হতে দেব না।’ হিমন্তের আরও হুঁশিয়ারি দেন, ২০২৬ সালের আগেই মুসলিমদের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেব। একই বিষয়ে টুইটারেও সরব হন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের পাশে থাকার বার্তা, ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি মোদির]
বাল্যবিবাহের পাশাপাশি মুসলিমদের বহু বিবাহ রোখার বিষয়েও সরব হয়েছিলেন হিমন্ত। গত বছর মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বহুবিবাহ বা ‘নিকাহ হালালা’ অনুশীলনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। যার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। হিমন্তের হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধে বিধানসভায় করব হন বিরোধীরা। তাঁরা বিক্ষোভ দেখান বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে।