সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে অসমের (Assam) বন্যা পরিস্থিতি। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশু-সহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে মারা গিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মীও।
চলতি বছরে ধস এবং বন্যায় মোট ৭১ জন মারা গিয়েছেন অসমে। বাজালি, বক্সা, বরপেটা, কাছাড়-সহ ৩৩ টি জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরপেটা। ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে ৭৪৪ টি ক্যাম্প। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ।
রবিবার সন্ধে পর্যন্ত অসমে বন্যা (Flood) দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৪২ লাখ পেরিয়েছে। শুধুমাত্র বন্যা নয়, মৃত্যু হয়েছে ধসের ফলেও। কাছাড় জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বরপেটায়। এক জন করে মৃতের খবর এসেছে বাজালি, কামরূপ, করিমগঞ্জ, উদলগুড়িতে। ডিব্রুগড় থেকে নিখোঁজ হয়েছেন চার জন। কাছাড়, হোজাই, তমুলপুর, উদলগুড়ি থেকেও একই ভাবে এক জন করে নিখোঁজ।
[আরও পড়ুন: অগ্নিপথের বিরোধিতায় কংগ্রেসের প্রতিবাদে শামিল রাহুল, ধরনামঞ্চ থেকেই গেলেন ইডি অফিসে]
উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা। ভারতীয় সেনার (Army) এই উদ্ধার কাজের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন গজরাজ’। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে আধা সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল বাহিনীও। সূত্রের খবর, জলের তলায় রয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি গ্রাম। শুধুমাত্র বরপেটা জেলার প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। এছাড়াও নগাঁওয়ের প্রায় ৪ লক্ষ এবং দেলগুয়ে প্রায় ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। অসমের ২৫টি জেলার ১০ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ২৯ লক্ষ গবাদি পশু। এমনকী কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের বেশ কিছু অংশও রয়েছে জলের তলায়। বন্যা কবলিত লক্ষ লক্ষ মানুষ সহায় সম্বলহীন হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। তবু অনেকের কাছেই এখনও পৌঁছয়নি ত্রাণ।