shono
Advertisement

নাম নেই নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়ায়, অসমে রাতারাতি উদ্বাস্তু ৪০ লক্ষ মানুষ

নেপথ্যে কি ভোটব্যাংকের রাজনীতি, প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। The post নাম নেই নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়ায়, অসমে রাতারাতি উদ্বাস্তু ৪০ লক্ষ মানুষ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:29 AM Jul 30, 2018Updated: 10:59 AM Jul 30, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতারাতি উদ্বাস্তু হয়ে গেলেন ৪০ লক্ষ মানুষ। সোমবার প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়ায় নাম নেই লক্ষ লক্ষ মানুষের। ফলে প্রায় আচমকাই ভিটেছাড়া হতে হচ্ছে এই মানুষদের। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে অসমের পুঞ্জীভূত হয়েছে ক্ষোভ। নাগরিকত্ব হারানো মানুষদের ক্ষোভ আছড়ে পড়তে পারে আঁচ করেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

Advertisement

অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে এই নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রথম দফায় নাগরিকত্ব পেয়ে যান প্রায় ১.৯ কোটি মানুষ, বৈধ ভারতবাসী হিসেবে গণ্য করা হয় তাঁদের। তবে চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ নিয়ে আজ ছিল চরম উত্তেজনা। ২.৮৯ কোটি মানুষের ভাগ্য ঝুলে ছিল এই খসড়ায়। আজ চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ হওয়ার পর জানা যাচ্ছে, অন্তত ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। তবে এই তালিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের অভিযোগ, বাংলাদেশিদের বিতাড়নের নামে আসলে অসমে বসবাসকারী মুসমানদেরই টার্গেট করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা ভারতে বাস করছেন, রাতারাতি তাঁদের উদ্বাস্তু করে দেওয়া হচ্ছে। এর পিছনে বিজেপির ভোট ব্যাংকের রাজনীতি আছে বলেও অভিমত অনেকের। অসমের মুসলিম ভোটব্যাংক মূলত কংগ্রেসেরই কুক্ষিগত ছিল। এখন মুসলিমরা যদি নাগরিকত্ব না পেয়ে ভোটদানের ক্ষমতা হারান তবে আখেরে লাভ বিজেপির। কারণ হিন্দুত্বে ভরসা রাখা গেরুয়া শিবির মুসলিমদের ভোট পাবে না বলেই বিশ্বাস। এই নিয়েই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মতভেদ। যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

[ সুস্থ হয়ে উঠুন করুণানিধি, হাসপাতালের বাইরে ‘যমরাজ দূর হটো’ স্লোগান সমর্থকদের ]

তবে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এটা খসড়া মাত্র। এখনই কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্প বা উদ্বাস্তু শিবিরে পাঠানো হবে না। যাঁদের নাম নেই তাঁরা ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেখানে উপযুক্ত পরিচয়পত্র দেখিয়ে নিজেদের বৈধ ভারতবাসী বলে প্রমাণ করতে পারেন। একবার তা প্রমাণ করতে পারলে আর কোনও অসুবিধা নেই। যাঁরা তা পারবেন না তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। আপাতত তাঁদের ঠিকানা হতে চলেছে ডিটেনশন ক্যাম্প। ১৯৫১ সালের পর এই নাগরিকপঞ্জি আপডেট করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে যাঁরা এদেশে এসেছেন তাঁদের বৈধ নাগরিক হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে এর প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হয়। আজ চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হল। নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ নিয়ে অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই ইস্যুতে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনেছেন তৃণমূল সাসংদ সৌগত রায়। 

The post নাম নেই নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়ায়, অসমে রাতারাতি উদ্বাস্তু ৪০ লক্ষ মানুষ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement